‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করণীয়’
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসকে উদ্দেশ্য করে ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করণীয়’ বিষয় নিয়ে শনিবার বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) আয়োজন করে ভার্চুয়াল আলোচনা। বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগ দানকারি সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে বিডিপিএ-এর ভার্চুয়াল আলোচনা শুরু করেন সঞ্চালক ড. মো. মঞ্জুরে মওলা (মুঞ্জুর)।
আলোচ্য বিষয় ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করনীয়’ নিয়ে আলোচনার আলোচক ছিলেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ এবং মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান।
আবেগে ভরা এবং প্রাণবন্তকর আলোচনায় বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাতে স্থান পাবার ক্ষেত্রে আলোচক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলা ভাষাকে দেশের সর্ব স্তরের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য আইন পাস করা অতীব জরুরি। বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, উপাত্ত এবং সমকালীন উদাহরণের উপর ভিত্তি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হওয়া উচিত, সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা তা অবশ্যই বাংলা ভাষাতে হতে হবে। বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজি শিক্ষার নামে দেশের মানুষ তথা জাতির সাথে প্রতারণা করছে।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের শিক্ষা নামক প্রতারণামূলক শিক্ষা-ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত। জাতিসংঘের একটি আঞ্চলিক অফিস ঢাকাতে স্থাপন হলে তা আমাদের বাংলাভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্থান পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান তার পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোকে সামনে রেখে খুব আবেগের সঙ্গে বলেন, বিশ্বের চল্লিশটি দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে করছেন, যারা সর্বদায় চেষ্টা করেন বা করে থাকেন বাংলা ভাষা যেন সিয়েরা লিওনের মতো অন্য দেশেও সরকারি ভাষাতে স্থান পায়। তিনি আরও বলেন, প্রাণের কথা বলে আমাদের বাংলা ভাষা। বিদেশিরা আমাদের ভাষাকে খুব মিষ্টি ভাষা বলেই জানেন। তাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে আলোচনার বিষয়কে বাস্তবে রূপ দেবার জন্য।
অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, একটি স্ট্রাকচারল রোড ম্যাপ থাকা দরকার যা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাতে স্থান পাবার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার সারিতে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনবদ্য ভূমিকে পালন করতে পারে। তিনি তার বক্তব্যে যোগ করেন, বাংলা ভাষার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষাও আমাদের অধ্যয়ন করতে হবে। যা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে আমাদের বাংলা ভাষাকে পরিচিত করার নতুন পথ দেখাতে পারে।
ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে উপস্থিত ডক্টরদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ থেকে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ, মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান, অধ্যাপক মনতাজ আলী (দক্ষিণ আফ্রিকা), ড. সাইদ মাহমুদ খান (অস্ট্রেলিয়া), তারিকুল ইসলাম সাজিব (ডেনমার্ক), ডক্টর সাবরিউদ্দিন মির্জা, সিনিয়র রিসার্স ফেলো, হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র), শাহেনুল ইসলাম পালোয়ান (রাশিয়া-ডেনমার্ক), মোঃ মিনহাজ–উল হক (ইতালি), সহযোগী অধ্যাপক গাজি সালাউদ্দিন (সুইডেন), সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান (ফ্রান্স), ড. অধ্যাপক রবিউল আহসান (সৌদি আরব), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আর এ খন্দকার (যুক্তরাজ্য) অধ্যাপক, ড. মোঃ মহিদুল খান (এস্তোনিয়া) ড. মোহাম্মদ আহসানুল হক আরিফ (ডেনমার্ক), ফিনল্যান্ড থেকে ড. মাহবুব রহমান, ড. তাহমিনা খানম, ড.কাশিফ নিজাম খান, ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ, ড. করিম উল্লাহ, ড. এস এম হারুন-অর-রশিদ, ড. কামুরল হোসেন, ড. সাকিরা হাসান, ড. শরিফ চৌধুরী, ড. গোলাম মোঃ সারোয়ার, ড. মনজুর আলম, ড. এস এম সফিকুল আলম, ড. এ এইচ এম সামসুজ্জোহা, ড. জহিরুল ইসলাম, ড. ইয়াছিনুর রহমান এবং ড. মোঃ মঞ্জুরে মওলা।
‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করণীয়’
ড. মো. মঞ্জুরে মওলা, ফিনল্যান্ড থেকে
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৫৮:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি দিবসকে উদ্দেশ্য করে ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করণীয়’ বিষয় নিয়ে শনিবার বাংলাদেশ ডক্টরস প্লাটফর্ম ইন ফিনল্যান্ড (বিডিপিএফ) আয়োজন করে ভার্চুয়াল আলোচনা। বাংলা ভাষার জন্য আত্মত্যাগ দানকারি সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যদিয়ে বিডিপিএ-এর ভার্চুয়াল আলোচনা শুরু করেন সঞ্চালক ড. মো. মঞ্জুরে মওলা (মুঞ্জুর)।
আলোচ্য বিষয় ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলা: আমাদের করনীয়’ নিয়ে আলোচনার আলোচক ছিলেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ এবং মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান।
আবেগে ভরা এবং প্রাণবন্তকর আলোচনায় বাংলা ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাতে স্থান পাবার ক্ষেত্রে আলোচক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলা ভাষাকে দেশের সর্ব স্তরের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য আইন পাস করা অতীব জরুরি। বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, উপাত্ত এবং সমকালীন উদাহরণের উপর ভিত্তি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের শিক্ষার মাধ্যম বাংলা হওয়া উচিত, সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা তা অবশ্যই বাংলা ভাষাতে হতে হবে। বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ইংরেজি শিক্ষার নামে দেশের মানুষ তথা জাতির সাথে প্রতারণা করছে।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের শিক্ষা নামক প্রতারণামূলক শিক্ষা-ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত। জাতিসংঘের একটি আঞ্চলিক অফিস ঢাকাতে স্থাপন হলে তা আমাদের বাংলাভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্থান পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান তার পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোকে সামনে রেখে খুব আবেগের সঙ্গে বলেন, বিশ্বের চল্লিশটি দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে করছেন, যারা সর্বদায় চেষ্টা করেন বা করে থাকেন বাংলা ভাষা যেন সিয়েরা লিওনের মতো অন্য দেশেও সরকারি ভাষাতে স্থান পায়। তিনি আরও বলেন, প্রাণের কথা বলে আমাদের বাংলা ভাষা। বিদেশিরা আমাদের ভাষাকে খুব মিষ্টি ভাষা বলেই জানেন। তাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে আলোচনার বিষয়কে বাস্তবে রূপ দেবার জন্য।
অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, একটি স্ট্রাকচারল রোড ম্যাপ থাকা দরকার যা বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাতে স্থান পাবার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার সারিতে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনবদ্য ভূমিকে পালন করতে পারে। তিনি তার বক্তব্যে যোগ করেন, বাংলা ভাষার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষাও আমাদের অধ্যয়ন করতে হবে। যা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে আমাদের বাংলা ভাষাকে পরিচিত করার নতুন পথ দেখাতে পারে।
ভার্চুয়াল আলোচনায় বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে উপস্থিত ডক্টরদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ থেকে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আবদুল্লাহ, মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ ফসিউর রহমান, অধ্যাপক মনতাজ আলী (দক্ষিণ আফ্রিকা), ড. সাইদ মাহমুদ খান (অস্ট্রেলিয়া), তারিকুল ইসলাম সাজিব (ডেনমার্ক), ডক্টর সাবরিউদ্দিন মির্জা, সিনিয়র রিসার্স ফেলো, হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র), শাহেনুল ইসলাম পালোয়ান (রাশিয়া-ডেনমার্ক), মোঃ মিনহাজ–উল হক (ইতালি), সহযোগী অধ্যাপক গাজি সালাউদ্দিন (সুইডেন), সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান (ফ্রান্স), ড. অধ্যাপক রবিউল আহসান (সৌদি আরব), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আর এ খন্দকার (যুক্তরাজ্য) অধ্যাপক, ড. মোঃ মহিদুল খান (এস্তোনিয়া) ড. মোহাম্মদ আহসানুল হক আরিফ (ডেনমার্ক), ফিনল্যান্ড থেকে ড. মাহবুব রহমান, ড. তাহমিনা খানম, ড.কাশিফ নিজাম খান, ড. হাসান মাহমুদ আমিনুল ইসলাম, ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক, ড. মোঃ সানাউল হক, ড. জুলিয়াস ফ্রান্সিস গোমেজ, ড. করিম উল্লাহ, ড. এস এম হারুন-অর-রশিদ, ড. কামুরল হোসেন, ড. সাকিরা হাসান, ড. শরিফ চৌধুরী, ড. গোলাম মোঃ সারোয়ার, ড. মনজুর আলম, ড. এস এম সফিকুল আলম, ড. এ এইচ এম সামসুজ্জোহা, ড. জহিরুল ইসলাম, ড. ইয়াছিনুর রহমান এবং ড. মোঃ মঞ্জুরে মওলা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023