বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে শহীদুর রহমান নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে
দেশটির এক নাগরিককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কোয়াজুলু নাটালের একটি
আদালত। এ মামলায় অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি হত্যা মামলার রায় দেওয়া হলো।
২০২১ সালের ৭ জুলাই শহীদুর রহমান ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হলে স্থানীয়
সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো
অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
হত্যার প্রায় ১৫ দিন পর শহীদুর রহমানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়
পুলিশ।
পরে শহীদুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান
চালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিক বর্ডার এলাকা থেকে শহীদুর রহমানের গাড়ি
উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কানকেনইয়েজি সেগাটলি নামে একজন
কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সে জানায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো দুজন জড়িত ছিল।
শহীদুর রহমানকে হত্যার দায়ে শুক্রবার কানকেনইয়েজি সেগাটলি নামে সেই
কৃষ্ণাঙ্গকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কোয়াজুলু নাটালের একটি আদালত।
শহীদুর রহমানের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তিনি ২৫ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায়
পাড়ি জমান। শহীদুর রহমান ডারবানের অদূরে কাঠের ব্যবসা করতেন এবং সপরিবারে
তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। তার ২ সন্তান এবং স্ত্রী ডারবানে বসবাস করেন।
নিহত শহীদুর রহমানের স্ত্রী জানান, আমার ছেলেরা বাবার হত্যাকারীর সাজা দেখে
কিছুটা হলেও দুঃখ ভুলতে পারবে। আমি সৌভাগ্যবান বলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে
স্বামী হত্যার বিচার পেয়েছি।
বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড
শরীফ উদ্দিন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে
১৪ আগস্ট ২০২২, ০২:২৮:১৯ | অনলাইন সংস্করণ
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে শহীদুর রহমান নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে
দেশটির এক নাগরিককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কোয়াজুলু নাটালের একটি
আদালত। এ মামলায় অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি হত্যা মামলার রায় দেওয়া হলো।
২০২১ সালের ৭ জুলাই শহীদুর রহমান ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হলে স্থানীয়
সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো
অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
হত্যার প্রায় ১৫ দিন পর শহীদুর রহমানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়
পুলিশ।
পরে শহীদুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান
চালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিক বর্ডার এলাকা থেকে শহীদুর রহমানের গাড়ি
উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কানকেনইয়েজি সেগাটলি নামে একজন
কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সে জানায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো দুজন জড়িত ছিল।
শহীদুর রহমানকে হত্যার দায়ে শুক্রবার কানকেনইয়েজি সেগাটলি নামে সেই
কৃষ্ণাঙ্গকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কোয়াজুলু নাটালের একটি আদালত।
শহীদুর রহমানের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তিনি ২৫ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায়
পাড়ি জমান। শহীদুর রহমান ডারবানের অদূরে কাঠের ব্যবসা করতেন এবং সপরিবারে
তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। তার ২ সন্তান এবং স্ত্রী ডারবানে বসবাস করেন।
নিহত শহীদুর রহমানের স্ত্রী জানান, আমার ছেলেরা বাবার হত্যাকারীর সাজা দেখে
কিছুটা হলেও দুঃখ ভুলতে পারবে। আমি সৌভাগ্যবান বলে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে
স্বামী হত্যার বিচার পেয়েছি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023