|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নগ্ন পায়ে তুমি হেঁটে যাও হাঁসের মতো
চীনা খোঁপার মতো আলতু পিন চুলে
সুমিষ্ট সুবাস স্প্রে,
তোমাকে কি কবিতা কি গান আজ শোনাব বল?
তোমার তীক্ষ্ণ চাহনিতে
বাতাসও যে আজ কেঁপে কেঁপে উঠে
মাঝে মধ্যে নিজেকেই মনে হয় বালিভর্তি এক কার্গো জাহাজ
ঢেউয়ের রেখা ভেঙ্গে এই বুঝি ডুবে গেলাম,
আমাকে তুমি এখন কবিতা আবৃত্তি করতে বলছ, গান?
এখন তো আমার স্বেচ্ছা মৃত্যুর সময়
না হবে গান না হবে কবিতা
আর তুমি তো জানাই
আমার কবিতা মানেই উত্তাপ
আমার গান মানেই হু হু করা অনায়াস , শ্রাবণ সবুজ
উত্তাল সাগরে দশ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস
আর তোমার গুপ্ত জলপথ থাকে শব্দের শীর্ষে
মনে হয় মুগ্ধ ক্যাকটাস আঁকড়ে ধরে আছে
বিভাজন রেখায় যেন তোপধ্বনি,
আমি মার্কারি আমি অক্সাইড
আমি তোমার অম্লতে অপরিহার্য
সতেজটা কেবল সোনালী রোদ
রিক্স ফ্যাক্টর বলতে এখন কেবল বয়স
তবুও অথৈ নদীতে থৈ থৈ
আর দোটানায় তোমার আঙিনা
মনে হয় ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল
ভাবি,
এ রকম চিক চিক আনন্দ থাকবে তো সারা জীবন?
চাহিদা, সুখানন্দ, তোমার যৌবন
জোনাকির ঔরসে জন্ম নেবে এক নতুন পৃথিবী
মেদহীন জলোচ্ছ্বাস
তোমার কাজল চোখের ক্লান্ত শরীরে
এখন রান্না রান্না গন্ধ
তবুও হাসি যেন দুর্জয় এক সাহস,
আর আমি?
ব্রেক ফেল করা বেলহীন এক সাইকেল
আর পিছনে তুমি এক মায়া হরিণী,
ফুলের চেয়েও ভালোবাসি তোমায়
গুচ্ছ গ্রামের লাল টিন ঘরের চাইতেও ভালোবাসি তোমায়
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেয়েও ভালোবাসি তোমায়,
ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নির্ধারণ নেই
আমার অনন্ত তা আছে
তাই চোখের ত্রুটি অগ্রাহ্য করে
আমি প্রতিদিন দেখি তোমায়
তবুও কেন এত আতঙ্ক তোমার?
শিশির বিন্দু দেখি কপালে
আমি চাই
সহজ বাসে তোমার মুখ জ্বল জ্বল করে।
