Logo
Logo
×

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

বার্ন ইউনিটে ভর্তি ৫২ লাইফ সাপোর্টে ৬

সবার শরীরের ৬০ থেকে ৯৮ শতাংশ দগ্ধ * মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে ২ জনকে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন ও হাজারীবাগ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৫২ জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢামেক বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের ৬০ থেকে ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। ১০ জনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬ জন লাইফ সাপোর্টে। এছাড়া দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা হলেন-মো. তানভীর আহমেদ (অষ্টম শ্রেণি-ইংলিশ ভার্সন) ও জুনায়েদ হাসান (তৃতীয় শ্রেণি)।

জাতীয় বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, এখানে যাদের ভর্তি করা হয়েছে, অধিকাংশই শিশু। তাদের বয়স ৮ থেকে ১৩ বছর। কয়েকজন শিক্ষকও রয়েছেন। এছাড়া একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

এদিন দুপুর থেকে বার্ন ইউনিটে সরেজমিন দেখা যায় হতাহতদের স্বজনের আর্তচিৎকার। আইসিইউ, এইচডিইউ, পোস্ট অপারেটিভ বারান্দায় স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল চত্বরে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আইসিইউর বারান্দায় ডা. নাসির উদ্দিন জানান, ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, বাকিটা মহান আল্লাহর ওপর। আইসিইউর বারান্দায় সিজদায় পড়ে আর্তনাদ করছিলেন আব্দুল্লাহ শামীমের মা জুলেখা বেগম। আব্দুল্লাহ শামীম ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার শরীরের ৯৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে কেউ সান্ত্বনা দিতে পারছিলেন না। একই স্কুলের মাহরীন চৌধুরীর শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. বিধান সরকার বলেন, আমাদের এখানে নারী, শিশুসহ চারজনকে আনা হয়েছে। জুনায়েদ হাসান নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। ভর্তি করা হয়েছে তিনজনকে-রাইয়ান (১৪), জারিফ (১২) ও সবুজা বেগম (৪০)।

অন্যদিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, নারী, শিশুসহ দগ্ধ অন্তত ৫০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন-নওরিন (৩০), ধতাসনিয়া, মাহতাব (১৪), শামীম (১৪), মুনতাহা (১০), রুহান (১৪), আবিদুর রহমান (১০), নাফি (৯), রাফিয়া (১০), আয়ান (১৪), আবিদ (৯), সায়েম ইউসুফ (১৪), মেহেনুর (১২), আশরাফ (৩৭), ঊষা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসনিয়া (১৫), মাহিয়া, ফায়েজ, (১৪), মাসুমা (৩৮), কাব্য (১৩), নিলয় (১৩), লরিন (৩০), জাকির (৫৫), সায়রা (১০), জায়মা (১৩), সায়েবা (৯), রাইসা (১১), নাফিজ, মাসুকা (৩৭), তওফিকা (১৩), নিশি (২৮), নুসরাত (১২), আরিয়ান (১৩), বাপ্পি (১০) জুনায়েদ (১২), তাসনুবা মাহবিন (১১), ফারজানা ইয়াসমিন রিনা (৪৫), মাকিন (১৫), শ্রেয়া (৯) তাসমিয়া (১০), ইরিকসন (১৩), ইদ্রিস (১৫), লিমন (১৭), আরিফ (১২), নাজিয়া (১৩), আয়মান (১০), ইমন (১৭), জারিফ ফারহান (১৪), সবুজা বেগম (৪৫) ও জোনায়েদ (১১)।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম