|
ফলো করুন |
|
|---|---|
১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুন, ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগাল ও ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানার স্বপ্নযাত্রা থেমেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটের সেই গেরো খুলে এবার আফ্রিকা বা আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে নতুন ইতিহাস গড়েছে মরক্কো। আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশরা এখন আর শুধু নিজেদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন না।
কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে মরক্কোর ঐতিহাসিক জয়ের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো আফ্রিকা ও আরব বিশ্বে। অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে আটলাসের সিংহরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মরক্কোর দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাহরাইন, শাদ, ইরাক, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, মিসর, জর্ডান ও আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
ক্যামেরুনের কিংবদন্তি ফুটবলার ও দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি স্যামুয়েল ইতো লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য!... পুরো আফ্রিকা তোমাদের জন্য গলা ফাটাচ্ছে।’ মরক্কোকে অভিনন্দন জানানোর তালিকায় আছেন টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক ও কলম্বিয়ান পপতারকা শাকিরাও। নিজের বিখ্যাত গানের কলিটাই উদ্ধৃত করেছেন শাকিরা, ‘ইটস টাইম ফর আফ্রিকা।’
মরক্কোর রূপকথার নেপথ্য নায়ক কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই দেখছেন আরও বড় স্বপ্ন। বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা তিনি নিয়ে যেতে চান আফ্রিকায়, ‘এখন আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি। কেন আমরা বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখব না? স্বপ্ন দেখতে তো পয়সা লাগে না। ইউরোপের দেশগুলোকে বিশ্বকাপ জিততে দেখে অভ্যস্ত আমরা। সময় এবার আফ্রিকার। কয়েকটি বড় দলকে হারালেও এখনো আমরা কিছু অর্জন করতে পারিনি। তবে সামনে যে দলই আসুক, আমাদের যে সহজে হারানো যাবে না, এই বার্তাটা দিতে পেরেছি।’
হার দূরে থাক, রেগরাগুইয়ের কোচিংয়ে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করেছে মরক্কো, সেটিও আত্মঘাতী। অভাবনীয় সাফল্যের সরল রেসিপি জানিয়ে দিলেন রেগরাগুই, ‘এই বিশ্বকাপে সবার ভালোবাসার দল হয়ে উঠেছি আমরা। কারণ, আমরা দেখাতে পেরেছি, প্রতিভায় যদি পিছিয়ে থাকেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, বিশ্বাস ও হৃদয় দিয়ে চেষ্টা করে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। আমি নিশ্চিত, আপনাদের অনেকেই আমাদের এতদূর আসাটাকে অলৌকিক ঘটনা বলবেন। কিন্তু আমি বলব, এটা কঠোর পরিশ্রমের ফল। বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের বিপক্ষে কোনো গোল হজম না করে জিতেছি আমরা।’
সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে মরক্কো। আটলাসের সিংহদের মোটেও সহজ প্রতিপক্ষ ভাবছেন না ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম, ‘মরক্কো প্রশংসার দাবিদার। হয়তো তাদের এতদূর আসাটা প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, তারা মাত্র একটি গোল হজম করেছে। এরপর মরক্কোকে সেমিতে দেখা মোটেও বিস্ময়কর কিছু নয়।’
