বিস্ময়-দৌড় মেসিভক্ত ‘মাকড়সা’র
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০২:৪৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সেমিফাইনালে ম্যাচের বয়স তখন ৩৯ মিনিট। আর্জেন্টিনা এগিয়ে ১-০। মাঝমাঠে পায়ে বল পেয়েছিলেন বছর বাইশের তরুণ। রুদ্ধশ্বাসে ছুটে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের দিকে। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলাররা নীল-সাদা জার্সি গায়ে এই তরুণ তুর্কিকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রাণপণ। কিন্তু বুধবারের ম্যাচে হুলিয়ান আলভারেস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে তার স্বপ্নের দৌড় দেখেছে বিশ্ব।
প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট আগলে ছিলেন কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। আলভারেসকে তিনি আটকাতে পারেননি। তার ডান পায়ের হালকা টোকায় বল জালে। প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার ক্রোয়েশিয়া-বধের নেপথ্য কারিগর যদি হয়ে থাকেন লিওনেল মেসি, তবে আলভারেজ নিঃসন্দেহে নায়ক। তিনটির মধ্যে দুটি গোলই তার।
২০০০ সালের ৩১ জানুয়ারি আর্জেন্টিনার কালচিন শহরে জন্ম আলভারেজের। তার ডাক নাম লা আরানা, যার অর্থ মাকড়সা। ক্লাব ফুটবল কিংবা দেশের হয়ে খেলা, সতীর্থরা মাঝেমাঝেই এই ডাকনামে ডেকে থাকেন তাকে। গত পরশুর ম্যাচে মাঝমাঠ বরাবর আলভারেজের অবিশ্বাস্য দৌড় যারা দেখেছেন, তারা অনেকে মাকড়সার গতিবিধির সঙ্গে তরুণ ফুটবলারের মিল খুঁজে নিতেই পারেন। সেমিফাইনালে আরও একটি গোল রয়েছে আলভারেজের নামে। সেই গোলের কৃতিত্ব অবশ্য বেশি তার অধিনায়কের। মেসির ঠিকানা লেখা পাসে দ্বিতীয় গোলটি করেন আলভারেজ।
আলভারেজকে আর্জেন্টিনা দলে নতুন মুখ বলা চলে। গত বছর দেশের জার্সিতে সিনিয়র দলে অভিষেক হয় তার। বিশ্বকাপের নির্ণায়ক ম্যাচে চিলির বিরুদ্ধে দি মারিয়ার বদলি হিসাবে ৬২ মিনিটে মাঠে নামেন তিনি। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে করেন প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।
