|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মরক্কো যাওয়ার আগে লিভারপুলের হয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সালাহর। এ নিয়ে ক্লাবের কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে মতবিরোধেও জড়ান তিনি। ইংলিশ ক্লাবটিতে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতেই এসব আলোচনা পেছনে ফেলে দেন মিশরের এই তারকা ফরোয়ার্ড। আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যোগ করা সময়ের গোলে মিশরকে জয় এনে দেন সালাহ।
আগাদিরে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশরের মুখোমুখি হয় জিম্বাবুয়ে। শক্তি ও র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে ৩৫তম স্থানে থাকা মিশরের তুলনায় অনেক পিছিয়ে ১২৯তম জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই চমক দেয় তারা। ২০ মিনিটে প্রিন্স দুবের গোলে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৪ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড ওমর মারমুশ গোল করলে সমতায় ফেরে মিশর। তবে জয় পেতে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে ৪০ বছর বয়সী গোলকিপার ওয়াশিংটন আরুবিকে পরাস্ত করেন সালাহ।
ম্যাচজুড়ে একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে মিশর। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সালাহ নিজেও একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। তবু জিম্বাবুয়ের ওপর চাপ ধরে রেখেই খেলে যায় মিশর। একপর্যায়ে জিম্বাবুয়ের সব খেলোয়াড়ই নিজেদের রক্ষণে নেমে গোল ঠেকানোর চেষ্টা করেন।
জয়ের পর মিশরের কোচ হুসাম হাসান বলেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। ভাগ্যও খুব একটা সহায় ছিল না। তবে আমরা ম্যাচে ভালো দল ছিলাম। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়।’

