Logo
Logo
×

ফ্রিজ নিয়ে বিশেষ আয়োজন

সাক্ষাৎকার

শতভাগ বিদ্যুতায়নে ফ্রিজের চাহিদা বেড়েই চলছে: মো: নুরুল আফছার

উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শতভাগ বিদ্যুতায়নে ফ্রিজের চাহিদা বেড়েই চলছে: মো: নুরুল আফছার

মো: নুরুল আফছার

যুগান্তর : রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের ভোক্তাগোষ্ঠী আসলে কারা?

নুরুল আফছার : দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে এ পণ্যটির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফলে সব স্তরের ভোক্তাই রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের সুবিধা ভোগ করছেন।

যুগান্তর : দেশি ও বিদেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে কোনটি এগিয়ে?

নুরুল আফছার : বর্তমানে দেশে দেশি এবং বিদেশি দুই ধরনের ফ্রিজের চাহিদা আছে। তবে বাজার চাহিদার প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ দেশে প্রস্তুত রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

যুগান্তর : দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারে ক্রেতাদের আস্থা কেমন?

নুরুল আফছার : বিদেশি ব্র্যান্ডের দাম বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরে। দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটরে একদিকে যেমন বিদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টেকনোলজিক্যাল আপগ্রেড করা হচ্ছে, তেমনি দামও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। যার কারণে দেশি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের প্রতি মানুষের আস্থা সবচেয়ে বেশি।

যুগান্তর : ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিক্রি কেমন?

নুরুল আফছার : ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে দুই জায়গায়ই রেফ্রিজারেটরের বিক্রয় ভালো। তবে বেশির ভাগ রেফ্রিজারেটর বিক্রয় হয় কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। রোজার ঈদেও বেশকিছু রেফ্রিজারেটরের চাহিদা বাড়ে তবে তুলনামূলকভাবে এ বছর রেফ্রিজারেটর বিক্রি খুব একটা চোখে পড়ার মতো নয়।

যুগান্তর : বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়ে আপনার প্রতিষ্ঠান কীভাবে দেখে?

নুরুল আফছার : দেশে আমাদের প্রায় ৪ হাজার ৫০০ দক্ষ টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে কনকা, হাইকো ও গ্রি ব্র্যান্ডের ফ্রিজে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বিক্রয়োত্তর সুবিধা, যাতে প্রতিটি ফ্রিজ স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যায়।

যুগান্তর : উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ কতটা ঘটান?

নুরুল আফছার : দেশের আবহাওয়া এবং গ্রাহকদের কাক্সিক্ষত প্রয়োজন বিবেচনায় কনকা ও হাইকো ফ্রিজে সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়। আমরা কনকা চায়নার সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রযুক্তি শেয়ার করছি, বিদেশের মতোই আমাদের দেশে উৎপাদিত ফ্রিজগুলো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং একই রকম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে। ফ্রিজের জন্য নিত্যনতুন প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আমরা নিজেদের পণ্যে সম্পৃক্ত করছি। দু-চার দিনের জন্য বা এর চেয়ে বেশি সময়ের জন্য ঘরের বাইরে থাকলে কনকা ফ্রিজটি ইকোনমি মুডের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এতে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে এবং খাবারও সতেজ থাকবে।

যুগান্তর : বাংলাদেশে এখন রেফ্রিজারেটরের বাজার কত বড়?

নুরুল আফছার : বর্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের বাজার আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো। টাকার অঙ্কে প্রায় সাড়ে সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকা। বার্ষিক গড় বাজার সম্প্রসারণের হার প্রায় ১০-১৫ শতাংশ।

যুগান্তর : আপনাদের রেফ্রিজারেটরে খাবারের মান ও গুণ কিভাবে ঠিক থাকছে?

নুরুল আফছার : আমরা কনকা রেফ্রিজারেটরে সংযোজন করেছি অ্যাকটিভিটেড কার্বন ডিওডোরাইজার প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির কারণে কনকা ফ্রিজের মধ্যে রাখা খাবার একটার সঙ্গে আরেকটা গন্ধ মিক্সড হয় না। এতে খাবার থাকে সতেজ এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

যুগান্তর : নতুন প্রযুক্তির কী কী ফ্রিজ বাজারে এনেছেন? ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো অফার আছে কিনা?

নুরুল আফছার : আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে বেশ কিছু নতুন ডিজাইন ও মডেলের ফ্রিজ এই সময়ে বাজারে সরবরাহ করছি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আমরা একটি অফার চালু করেছি, যার নাম ঘঁষা দিলেই গোল্ড অফার। এ অফারে একজন কাস্টমার কনকা এবং হাইকো ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনলেই একটি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন।

যুগান্তর : বর্তমানে কী প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর-ফ্রিজার বেশি চলছে?

নুরুল আফছার : কনকা ফ্রিজে যে ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয় তা শতভাগ ফুড গ্রেড এবং আমেরিকান এফডিআই সার্টিফাইড। হিউমিডিটি কন্ট্রোল সিস্টেমে খাবারের মান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দরজা লাগাতে ভুলে গেলে আমাদের ফ্রিজ ৬০ সেকেন্ড পরে অ্যালার্ম বাজাবে, দেশে আমরাই এ প্রযুক্তি প্রথমে নিয়ে এসেছি।

ফ্রিজ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম