Logo
Logo
×

ফ্রিজ নিয়ে বিশেষ আয়োজন

সাক্ষাৎকার

সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এআই স্মার্ট ফ্রিজ: তাহসিনুল হক

চিফ বিজনেস অফিসার, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এআই স্মার্ট ফ্রিজ: তাহসিনুল হক

তাহসিনুল হক

যুগান্তর : ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আপনারা ক্রেতাদের জন্য কী ধরনের নতুন পণ্য নিয়ে এসেছেন?

তাহসিনুল হক : ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য আমরা সম্প্রতি আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচারসমৃদ্ধ সাতটি নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করেছি। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে এইট-ইন-ওয়ান (8in1) কনভার্টিবল মোডের ডলবি সাউন্ডযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং ২১ দশমিক ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, আইওটি ও এআই ডক্টরসহ সর্বাধুনিক ফিচারের থ্রি-ডোরের সাইড বাই সাইড মডেলের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোডসমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোর মডেল, ওয়াটার ডিস্পেনসারের বটম ও মাউন্টেড মডেল, ডিজিটাল কন্ট্রোল ডিসপ্লের সেমি নো-ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটরসহ স্লিম ডিজাইনের ফ্রিজার।

যুগান্তর : ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজ সম্পর্কে বলুন।

তাহসিনুল হক : ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে আসা ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৬২০ লিটার ধারণক্ষমতার ‘মাল্টিমিডিয়া হাব’ স্মার্ট রেফ্রিজারেটর। ওয়ালটনের নতুন মডেলের এ ফ্রিজে রয়েছে মেটাল ও ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এ ফ্রিজে ব্যবহৃত এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) প্লাস ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে। 8in1 কনভার্টিবল মোডের এ ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরম্যান্স গ্রাহক তার পছন্দমতো সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেশ খাবার।

যুগান্তর : বাজারে ওয়ালটনের কত মডেলের ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে? এসব ফ্রিজের দাম, কিস্তিসহ অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে বলুন।

তাহসিনুল হক : ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আছে জিরো ইন্টারেস্টে ৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি সুবিধা।

যুগান্তর : ঈদ উপলক্ষ্যে ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রয়ে কোনো বিশেষ সুবিধা রয়েছে কি?

তাহসিনুল হক : ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ২২’। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য আবারও মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ওয়ালটন ফ্রিজের প্রত্যেক ক্রেতার জন্য রয়েছে নিশ্চিত উপহার।

যুগান্তর : ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে বলুন।

তাহসিনুল হক : ওয়ালটন ফ্রিজের আন্তর্জাতিক মানের নিশ্চয়তায় ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, ১২ বছরের কম্প্রেসার গ্যারান্টি এবং ৫ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা। দেশের প্রথম আইএসও সার্টিফাইড ও সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের আওতায় দেশব্যাপী বিস্তৃত ৯০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন।

যুগান্তর : দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে সুপার ব্র্যান্ডের তকমা ধরে রাখতে সামনের দিনগুলোয় আপনারা কোন জায়গায় বিশেষ জোর দিচ্ছেন?

তাহসিনুল হক : দেশীয় রেফ্রিজারেটর বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রাখতে রেফ্রিজারেটর খাতের অটোমেশন, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনে অধিক জোর দিয়েছি আমরা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নতুন নতুন যে অটোমেশন প্রযুক্তি আছে, সেগুলোর ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

যুগান্তর : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ওয়ালটন কতটা এগিয়ে?

তাহসিনুল হক : বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদন আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহার করা হচ্ছে এমএসও প্লাস (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) ইনভার্টার টেকনোলজি। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনে অনেক দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

যুগান্তর : দেশের রেফ্রিজারেটর বাজারে কোন কোন দিক থেকে ওয়ালটন অন্যদের থেকে আলাদা?

তাহসিনুল হক : দেশের ফ্রিজের বাজারে সর্বোচ্চসংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, গুণগত মান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন। আমাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিম রয়েছে আমাদের। তারা ১২০টি দেশের আবহাওয়া প্যাটার্ন অনুযায়ী ফ্রিজের ডিজাইন তৈরি করছে।

যুগান্তর : ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কতটা নাগালে এসেছে?

তাহসিনুল হক : আগে ফ্রিজ ব্যবহার হতো শুধু উচ্চবিত্তের ঘরে। ওয়ালটন ২০০৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফ্রিজ উৎপাদন শুরুর পর ফ্রিজের দাম মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের হাতের নাগালে এসে পড়ে। চলমান ডলার সংকটের কারণে বেসিক কাঁচামালের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে উৎপাদন ব্যয় যে অনুপাতে বেড়েছে, সেই হারে আমরা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করিনি।

যুগান্তর : ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে কোন কোন দেশে? রপ্তানির পরিমাণ কত?

তাহসিনুল হক : ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, ইরাক, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রিয়াসহ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ ৫০টিরও বেশি দেশে রেফ্রিজারেটরসহ ফ্রিজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রপ্তানি করছে ওয়ালটন। ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ লাখ ইউনিট ফ্রিজ রপ্তানির টার্গেট রয়েছে আমাদের। সেজন্য ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা।

ফ্রিজ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম