সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিয়ের দিন নিয়ে ভাবনাচিন্তার শেষ থাকে না। সাজপোশাক, গহনা, মেকআপ কেমন লাগছে দেখতে আপনাকে— বিশেষ টেনশন। সাজগোজে সামান্য এদিক-সেদিক হলে সব কিছু মাটি। বিয়ের সাজে এবার মন খারাপ এড়াতে তাই মেকআপের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ভুল না করাই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক, যে ভুল কখনো করা ঠিক নয়—
বিয়ের দিন পাত্র-পাত্রীই মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাদের কেন্দ্র করে নানা রীতি-রেওয়াজ পালন করতে হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে পরিবারের আর পাঁচজনের মতো তাদেরও ব্যস্ততা থাকে অনেক বেশি। তবে মেকআপের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। হাতে কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা সময় নিয়ে সাজতে হবে। সাজগোজের মাঝে যাতে কেউ বিরক্ত না করে, সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ বেউ বিরক্ত করলে, আপনার সাজগোজে প্রভাব পড়বে। প্রথমেই মুখ পরিষ্কার না করে সাজগোজ শুরু করবেন না। কারণ এতে কম সময়ের মধ্যে মেকআপ নষ্টের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে।
আর বিয়ের পোশাক অবশ্যই বিয়ের আগে ট্রায়াল দিয়ে তারপর কিনে রাখুন। বিয়ের দিন যেন এ নিয়ে কোনো টানাপোড়েন শুরু না হয়। তা না হলে সুন্দর মেকআপের পরও, স্রেফ পোশাকের জন্য আপনার সাজ মাটি হতে পারে।
এ ছাড়া ভুল করেও বিশেষ এই দিনটিতে সাজগোজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাবেন না। কারণ এর পরিবর্তে নিত্যদিন আপনি যেমন মেকআপে অভ্যস্ত, ঠিক সেভাবেই মেকআপ করুন। তা না হলে সাজ মাটি হয়ে যেতে পারে।
আর অনেকেই বিয়ের সাজগোজের সময় নকল চোখের পাতা লাগান। তার মাপের ওপর নিশ্চিত হোন। চোখের তুলনায় পাতার মাপ যেন খুব বেশি বড় হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। তা না হলে আপনার সাজে ত্রুটি দেখা দেবে।
আর অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ ব্যবহার করুন। বিয়ের সাজে সময় অনেক লাগে, তাই ঘাম কিংবা আলোয় সাজ নষ্ট হয়ে যাবে। পরে বিয়ের ছবি দেখে সাজ খারাপ হওয়ায় আফসোস করতে হবে আপনাকেই।
বিয়ের সাজে সাধারণত মেকআপের ফলে গায়ের সঙ্গে মুখের রঙের যাতে চোখে পড়ার মতো ফারাক না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। রূপটানশিল্পীকে অবশ্যই বলুন— মুখের পাশাপাশি ঘাড়, গলা ও হাতেও যেন সামান্য মেকআপ করে দেন। সেই সঙ্গে অবশ্যই টাচআপ কিট রাখুন। যাতে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর হালকা মেকআপ করে নিতে পারেন। তাতে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হবে।
