বাকৃবিতে কোষাধ্যক্ষ ভবন ও ব্যাংকে তালা
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান আন্দোলনের জেরে হল ছাড়ার নোটিশ দিলেও হল ছাড়েননি অধিকাংশ শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে অবস্থান করেই আন্দোলন করছেন তারা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রেললাইন অবরোধ করেন তারা। দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ভবন এবং টিএসসি সংলগ্ন পূবালী ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেন।
ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পরে আন্দোলনকারীরা জানান, আমাদের এ কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য। যতদিন না আমাদের ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে ততদিন এ ভবনগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকবে।
বাকৃবির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসরে যান। তারা নিয়মিত পেনশন পান। তাদের পেনশনের টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি খামার ও ফার্মের কর্মচারীদের বেতনসহ নানা খাতে অর্থ ব্যয় হয়।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিভাগের গবেষণার কাজে ২৪ ঘণ্টা অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে হয়। অর্থাৎ অর্থ সেকশনের দায়িত্ব অন্য ১০টি সেকশনের মতো নয়। যদি পেনশনভোগীরা বেতন না পান, তাহলে তাদের কি অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়।
তিনি বলেন, আমার কষ্ট হচ্ছে ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আসলে তারা ব্যাংক বন্ধ করতে পারে না। ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ নয়; বরং এ এলাকার সাধারণ মানুষেরও ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। তাই ব্যাংক বন্ধ করা সঠিক হয়নি। যে বিষয়ে আন্দোলন চলছে, সেটি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত।
পূবালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির কারণে আমরা ব্যাংক বন্ধ রেখেছি। কিন্তু ব্যাংক তো দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা যায় না। আপাতত বন্ধ থাকবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খোলা হবে। আমাদের গ্রাহকরা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। অনলাইন সুবিধা থাকায় চাইলে তারা শহর থেকে ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন।

