আবদুল্লাহপুর সড়ক যেন মরণ ফাঁদ: সংবাদ প্রকাশের পর সংস্কার কাজ শুরু
উওরা পূর্ব থানা প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২১ এএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত ৩০ জুলাই যুগান্তরে প্রকাশিত ‘আবদুল্লাহপুরে প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদ’ শিরোনামের সংবাদের পর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। সংবাদে রাস্তার খানাখন্দ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও চারটি সড়কের চরম বেহাল দশার চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর এক মাস দুই দিন ব্যবধানে মহাসড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে সওজ।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া মহাসড়কের ভাঙাচোরা অংশ পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার। এ সময় সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রাসেলসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্কার কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের বাম পাশের লেনে ইট বিছিয়ে ভাঙাচোরা স্থান সমান করা হচ্ছে। রোড রোলার দিয়ে রাস্তা মসৃণ করার কাজও চলছে।
এ বিষয়ে সওজের কার্য সহকারী হামিদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, রাস্তা এখনো বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আওতাধীন। সংবাদ প্রকাশের পরই সওজ অস্থায়ীভাবে সংস্কারকাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্থায়ীভাবে পূর্ণাঙ্গ কাজ করা হবে।
হামিদুল ইসলাম আরও জানান, আবদুল্লাহপুরের রাস্তা যদি বিআরটিএ প্রকল্প থেকে সওজকে হস্তান্তর করা হয়, তবে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। কারণ এটি কোটি টাকার কাজ; সামান্য মেরামতের মতো সহজ নয়।
ট্রাফিক পুলিশের আবদুল্লাহপুর পুলিশ বক্সের ইন্সপেক্টর মো. ইউনুস মিয়া আখন্দ বলেন, ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে রাস্তার বেহাল দশা চললেও কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। তবে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার স্যার নিজেও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
তিনি যুগান্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরায় এ উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও সংবাদপত্র সমাজের অসংগতি ও মানুষের সমস্যাগুলো সামনে আনবে বলে আমরা আশা করি।

