Logo
Logo
×

সারাদেশ

নড়াইলে হিন্দুদের বসতবাড়ি দখল ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

Icon

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম

নড়াইলে হিন্দুদের বসতবাড়ি দখল ও গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

ছবি: যুগান্তর

নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর মৌজার ধোপাখোলা এলাকায় এক হিন্দু পরিবারের বসতবাড়ি ও আশপাশের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত মোহাম্মদ উল্লাহর নেতৃত্বে গাছ কেটে ফেলা ও ঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও ভুক্তভোগী পরিবার এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক কাটতে পারেনি। অভিযুক্ত মোহাম্মদ উল্লাহকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগী দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, গত ১০ অক্টোবর ভোরে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকার মোহাম্মদ উল্লাহ (৪৫) প্রায় ৭০-৮০ জন লোক নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। তারা মুহূর্তের মধ্যেই নারকেল, পেয়ারা, সুপারি, আম ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও বনজ গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে ফেলে। এ সময় একটি ঘরও ভেঙে ফেলা হয়। বাধা দিতে গেলে দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে ধোপাখোলা এলাকার আব্দুল মান্নানের বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ ছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে গত বছরের ১১ জুন নড়াইল আদালত সড়কে মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবু অভিযোগ রয়েছে, মান্নানের জমি এখনো অভিযুক্তের দখলে রয়েছে এবং আশপাশের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের দাবি, তার বসতভিটার প্রায় সাড়ে ১১ শতক জমিসহ পার্শ্ববর্তী জমি, পুকুর ও প্রতিবেশী মান্নান, নাসিমা এবং রূপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী অলোক কুন্ডুর জমিসহ এক একরের বেশি জায়গা দখলের চেষ্টা করছেন মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা বহুদিন ধরে এখানে বসবাস করছি। মোহাম্মদ উল্লাহ আমাদের বাপ-দাদার ভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে চাইছেন। আমরা কোথায় যাব? প্রশাসনের কাছে আমাদের জমি ও বসতভিটা রক্ষার দাবি জানাই।

অলোক কুন্ডু নামের আরেক জমির মালিক বলেন, আমি ধোপাখোলার তপন বিশ্বাসের কাছ থেকে সাড়ে ৪২ শতক জমি কিনেছি। সম্প্রতি মোহাম্মদ উল্লাহ সন্ত্রাসী কায়দায় সেই জমিও দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। 

জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েতুল হক হিমু বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছি। জোরপূর্বক জমি দখল ও গাছ কাটার ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

তবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমি কারও জমি দখল করিনি। ধোপাখোলায় আমার নিজের জমি রয়েছে, সেটি বুঝে নেওয়ার জন্যই এই কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম