প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের চম্পাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আবারও ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও শরীরে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে তারা বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিদ্যালয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন। বিকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধাপা-চাপা দিতে বুধবার রাতেই দুই-একজন অভিভাবককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক।
অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুজন ছাত্রী অভিযোগ করে যুগান্তরকে বলে- হেড স্যারের নজর ভালো নয়, সব সময়ে আমাদের বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং সুযোগ পেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। এতদিন লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। ভাবছিলাম হেড স্যার ভালো হবে কিন্তু আজও তার চরিত্র ভালো হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। গত তিন দিন আগে দুজন ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে আমাদের এক সহকারী শিক্ষক তা মোবাইলে ভিডিও আকারে ধারণ করেন। এই ধারণ করার কারণে প্রধান শিক্ষকের ভাড়া করা কয়েকজন এসে সেই শিক্ষককে হুমকি দেন।
ওই সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষক বারবার ছাত্রীদের সঙ্গে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটনার কারণে আমাদের এবং স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা দরকার। তিনি ওই সময়কার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমতাজ হোসেনের ভাগ্নি জামাতা হওয়ার কারণে তার বরখাস্ত আদেশ বেশিদিন থাকেনি। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে বলে ওই শিক্ষক জানান।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহফুজ বলেন, আমি আজ গঙ্গাচড়া উপজেলায় অফিস করছি। এ কারণে সেখানকার বিষয়টি আমার জানা নেই।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, অভিভাবকরা ওই বিদ্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
