Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিজারিয়ানে প্রসূতির মৃত্যু, ৩ লাখ টাকায় মীমাংসা

Icon

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ এএম

সিজারিয়ানে প্রসূতির মৃত্যু, ৩ লাখ টাকায় মীমাংসা

ফাইল ছবি।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে খাদিজা খাতুন (২০) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সিজারে জন্ম নেওয়া শিশুটি বেঁচে আছে। এ ঘটনায় মধ্যরাতে মীমাংসা বৈঠকে ৩ লাখ টাকায় রফা হওয়ার তথ্য জানা গেছে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মধুপুর হাসপাতাল রোডের প্রাইভেট ক্লিনিক এশিয়া হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটে।

মৃত খাদিজা ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া উপজেলার কেশোরগঞ্জ এলাকার বাকতা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী।

পরিবার জানায়, খাদিজার এটি ছিল দ্বিতীয় সিজার। অপারেশন করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. শিমলা আফতাব শাওন। সিজার সম্পন্ন হওয়ার পরই খাদিজার শরীরে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। স্বজনরা অভিযোগ করেন, অপারেশনের পর দীর্ঘ সময় রোগীর কাছে যেতে দেওয়া হয়নি এবং অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সন্ধ্যার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলেও ততক্ষণে খাদিজা মারা গিয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের।

এ বিষয়ে হাসপাতালের অন্যতম পরিচালক মানিক সাহা জানান, অভিযোগ সত্যি নয়।অপারেশনের পর রোগীকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে রাখা হয় সেখানে কাউকে যেতে দেয়া হয় না। 

তিনি আরও জানান,রোগীর আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট ছিল। রক্তক্ষরণ ও শ্বাসকষ্টের কারণে তাকে আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি ঘটে। তার দাবি—ময়মনসিংহে নিতে দেরি হওয়াতেই রোগী মারা গেছে।

এদিকে খাদিজার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজন ও স্থানীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন। স্বজনরা চিকিৎসার কাগজপত্র চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা না দেওয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়ে।

খাদিজার স্বজনরা জানান, চিকিৎসার স্পষ্ট অবহেলাতেই খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পরে রাতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় হাসপাতাল প্রশাসন ও মৃতের পরিবারের মধ্যে মীমাংসার আলোচনায় বসা হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।

এদিকে হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখা যায়,সিজারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকা একাধিক রোগী হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম