প্রতীকী ছবি।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার আদমদীঘি ও সদরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ডিসেম্বর) রাতে আদমদীঘির ইন্তেহাদ প্লাস্টিক কারখানার সামনে ও বগুড়া সদরের বারপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
রোববার সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিহতরা হলেন, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র রাহিম হোসেন (১৮) ও শিবগঞ্জ উপজেলার আতলাই দাড়পাড়ার আবু তালেবের স্ত্রী শান্তা ইসলাম (২৪)।
আহতরা হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুরঘর গ্রামের লিটন হোসেনের ছেলে তৌফিক হোসেন ও একই গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে রহিম উদ্দিন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে মাদ্রাসা ছাত্র রাহিম হোসেন বন্ধু তৌফিক ও রহিমকে মোটরসাইকেলে নিয়ে সান্তাহার থেকে আদমদীঘি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বগুড়া-নওগাঁ সড়কের ইন্তেহাদ প্লাস্টিক কারখানার সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিন বন্ধু সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত রাহিম হোসেন ও তৌফিক হোসেনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক রাহিম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আদমদীঘি থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় সড়ক পরিবহণ আইনে মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া সদরের বারোপুর এলাকায় একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা গৃহবধূ শান্তা ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহত গৃহবধূর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় সড়ক পরিবহণ আইনে মামলা হয়েছে।

