গত দুই সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত দুই সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৭ ভাগ। সকাল ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে শহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম।
দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন রোদের তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে প্রচণ্ড।
ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়া জেলার ওপর বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। ঠান্ডা নিবারণের জন্য অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে গবাদিপশুর শীত নিবারণে ব্যবহার করা হচ্ছে চটের বস্তা।
এই শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালীর আলগা চরের ওয়ার্ড মেম্বার হোসেন আলী জানান, তার এলাকায় প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। এর মধ্যে বৃদ্ধ ও শিশুসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
শীতার্ত মানুষ প্রতিদিন তার বাড়িতে এসে ভিড় করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, লিস্ট করেছি, কম্বল পেয়ে যাবেন—এই আশ্বাসই দিতে হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাওয়া যায়নি।
শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। ঠান্ডার তীব্রতায় অনেক দিনমজুর কাজে যেতে পারছেন না। ফলে আয় বন্ধ হয়ে পরিবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এতে শীতের মাত্রা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা চর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু জানান, দরিদ্র মানুষের কাছে দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম কাপড় পৌঁছে দেওয়া জরুরি।

-(1)-694a20d49c850.jpg)