ভোট চুরির অভিযোগ তুলে ‘জেন জি’দের যে বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধী
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের রাজনীতিতে বিরোধী কণ্ঠস্বর হিসেবে রাহুল গান্ধী আবারও সামনে এসেছেন। তার অভিযোগ— নির্বাচন কমিশন এবং শাসকদল বিজেপির যোগসাজশে দেশে ‘ভোট চুরি’ হচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণরাই সংবিধান রক্ষা করবে, গণতন্ত্র বাঁচাবে এবং ভোট চুরি ঠেকাবে। এই বক্তব্যে তিনি প্রথমবারের মতো ‘জেন জি’ প্রজন্মের কথাও উল্লেখ করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত। কারণ নেপালে এই প্রজন্মের তরুণদের আন্দোলন সরকার পতন ঘটিয়েছিল। ফলে রাহুলের বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক প্রতিরোধ নয়, প্রতিবেশী বাস্তবতার সঙ্গেও মিল খুঁজে দেয়।
তবে শাসকদল বিজেপি কঠোরভাবে তার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, কংগ্রেস গত কয়েক দশকে বারবার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, এর জন্য দায়ী তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, ভোট চুরি নয়।
বিজেপি নেতারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা তিনবার নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জনগণের ভোটে।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনও বলেছে, কর্ণাটকের আলন্দ আসনে ৬ হাজার ভোটার বাদ দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল এবং কংগ্রেসের প্রার্থীই ওই আসনে জয়ী হয়েছে। বরং কমিশন নিজেই মামলা করেছে ঘটনার তদন্তে।
এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, রাহুল গান্ধীর ধারাবাহিক অভিযোগ কেবল নির্বাচনী প্রচার কৌশল, নাকি সত্যিই এ নিয়ে জনমত তৈরি হবে।
তরুণদের প্রতি তার বার্তা নিঃসন্দেহে কংগ্রেসকে নতুন এনার্জি দেবে। তবে বিজেপির পাল্টা প্রচারণা এবং কমিশনের ব্যাখ্যার মধ্যে তিনি কতটা সাফল্য পাবেন, তা অনিশ্চিত।
‘জেন জি’ প্রসঙ্গটি এ বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নেপালের উদাহরণ তরুণদের মনে নাড়া দিলেও ভারতের রাজনৈতিক বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে নির্বাচন কমিশন এখনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
তবে বিরোধী কণ্ঠস্বর যতই উঁচু হোক না কেন, এই ইস্যু ভোটারদের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।


