দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করবেন ট্রাম্প-শি, টিকটক চুক্তিতে অগ্রগতি দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল ছবি/সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং টিকটক নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি অর্জন করেছেন এবং তারা ছয় সপ্তাহ পর দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি বৈঠক করবেন।
এ বৈঠকে দুই নেতা বাণিজ্য, মাদক পাচার এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিন মাস পর দুই পরাশক্তির নেতাদের মধ্যে হওয়া এ টেলিফোন আলাপ কিছুটা উত্তেজনা কমালেও টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এপেক সম্মেলনের আঙ্গিনায় বৈঠক
দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে, তারা আসন্ন এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের আঙ্গিনায় আরও বৈঠক করবেন। এই সম্মেলন শুরু হবে ৩১ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজুতে। ট্রাম্প আরও জানান, তিনি আগামী বছর শুরুর দিকে চীন সফর করবেন এবং পরবর্তীতে শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি করেছি—বাণিজ্য, ফেন্টানিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং টিকটক চুক্তি অনুমোদন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনাটি খুব ভালো হয়েছে। আমরা আবারও ফোনে কথা বলব। টিকটক অনুমোদনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই এবং উভয় পক্ষ এপেক সম্মেলনে সাক্ষাতের অপেক্ষায়।’
চীনের শর্ত
ট্রাম্পের বক্তব্যে চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলা না হলেও, চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া জানায়, শি জিনপিং বলেছেন—চীনের অবস্থান পরিষ্কার: সরকার কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাকে সম্মান করে এবং বাজার নিয়ম অনুযায়ী সমাধানে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা স্বাগত জানায়, তবে তা অবশ্যই চীনা আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
কংগ্রেসের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রি না হলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ করার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে বাইড্যান্স-মালিকানাধীন জনপ্রিয় এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকে থাকার জন্য ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনার ওপর নির্ভরশীল।
ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের সিনিয়র ফেলো ক্রেইগ সিঙ্গলটন মন্তব্য করেছেন, ‘বেইজিং সময় ও কূটনৈতিক চেহারার ওপর ভর করছে, আর ওয়াশিংটন চাইছে টিকটক শিরোনাম আর একটি সম্মেলন। চীনারা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ সন্তুষ্ট।’
ট্রাম্পের অবস্থান
জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সত্ত্বেও ট্রাম্প টিকটক আইন কার্যকর করতে দেরি করছেন। তিনি মনে করেন, অ্যাপটি বন্ধ করলে বিপুল ব্যবহারকারী ক্ষুব্ধ হবেন এবং রাজনৈতিক যোগাযোগেও বিঘ্ন ঘটবে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি টিকটককে পছন্দ করি; এটি আমাকে নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছে। টিকটকের বিপুল মূল্য রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই রয়েছে সেই মূল্য, কারণ অনুমোদন দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’


