আফগানিস্তানে সরকার পরিবর্তন করতে চায় পাকিস্তান?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামাবাদ আফগানিস্তানে সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করছে—এমন অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া’।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।
আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, পাকিস্তানের আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের কোনো আগ্রহ নেই।
‘তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ইতোমধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ। তাহলে পাকিস্তানের কেন সেখানে সরকার পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে?’—প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ দশক ধরে আফগানিস্তানের রাজনীতিতে জড়িত থাকার পর পাকিস্তান এখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবেশী হিসেবে থাকতে চায়।’
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কোনো আপত্তি নেই
খাজা আসিফ স্পষ্ট করে বলেন, আফগানিস্তান যে কোনো দেশের সঙ্গে—ভারতসহ—সম্পর্ক রাখতে পারে, যতক্ষণ না তা পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি হয়।
‘আমরা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও তাদের কূটনৈতিক স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করি। শুধু চাই, তাদের পদক্ষেপ যেন পারস্পরিক সমঝোতার সীমার মধ্যে থাকে,’ বলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আফগান মাটি থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সতর্কবার্তা
রয়টার্সকে দেওয়া এক পৃথক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ সতর্ক করে বলেন, আফগান ভূখণ্ড থেকে কোনো হামলা চালানো হলে তা দুই দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
‘তালেবান সরকারকে চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সীমান্তপারের অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকলে চুক্তিটিও বহাল থাকবে,’ তিনি বলেন।
খাজা আসিফ সন্ত্রাসবাদের কারণে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সীমান্তপারের হামলা অব্যাহত থাকলে নাজুক শান্তি ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
নিষিদ্ধ টি-টিপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, পাকিস্তান নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবে না। তিনি বলেন, ‘ফিতনা-আল-হিন্দুস্তানের কর্মকাণ্ডই এই চুক্তির সবচেয়ে বড় হুমকি।’
খাজা আসিফ আরও জানান, যুদ্ধবিরতির অন্যতম প্রধান শর্ত হলো ‘ফিতনা-আল-খারিজ’ (চরমপন্থি গোষ্ঠী)-কে কোনো পক্ষের আশ্রয় বা সহায়তা না দেওয়া।
পাকিস্তানি মন্ত্রীর দাবি, আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীও এই শর্তের সঙ্গে একমত হয়েছেন।


