Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়া

সাবেক ফার্স্টলেডির আটকাদেশ বাড়ল আরও ১০ দিন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম

সাবেক ফার্স্টলেডির আটকাদেশ বাড়ল আরও ১০ দিন

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ও তার স্ত্রী কিম কুন হি।ছবি: আনাদোলু

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কুন হির আটকাদেশ আরও ১০ দিন বাড়িয়ে এ মাসের শেষ পর্যন্ত করা হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) দেশটির প্রসিকিউটররা এ তথ্য জানিয়েছেন। 

দেশটির বিশেষ কৌঁসুলি মিন জুং-কির দলের বরাত দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সিউলের আদালত তার আটকাদেশ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়নহ্যাপ–এর বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, সাবেক ফার্স্টলেডি কিম কুন হি-কে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রথম আটকাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট)।

দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে প্রসিকিউটরদের অবশ্যই এই বর্ধিত আটক সময়ের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। কারণ এর বাইরে আর কোনো বর্ধিত সময় অনুমোদিত নয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিউলের বিশেষ কৌঁসুলিদের দল বৃহস্পতিবার কিমকে তৃতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্ত্রী কিম কুন হির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন প্রভাবিত করা, ঘুষ নেওয়া এবং তার স্বামী ইউন সুক ইওলের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করা।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে সাবেক প্রেসিডেন্টর জেল হওয়ার ঘটনা রয়েছে। তবে, কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট দম্পতির কারাগারে থাকার ঘটনা এটাই প্রথম।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন ঘোষণা বাতিলের ভোট আটকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে সশস্ত্র সেনা পাঠান ইওল, যা দেশজুড়ে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে। এরপর জানুয়ারিতে তাকে আটক করা হয়। পরে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

আইনজীবীরা বলছেন, ৫২ বছর বয়সি কিম শেয়ার বাজারে কারসাজি করে ৮০০ মিলিয়ন ইউন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) বা ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ মার্কিন ডলার কামিয়েছেন।  তিনি এমনটা করেছিলেন তার স্বামীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে।  এমনকি, স্বামী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও একই কাজ অব্যাহত রাখেন কিম। 

এছাড়া সাবেক ফার্স্টলেডির বিরুদ্ধে দুটি চ্যানেল ব্যাগ ও একটি ডায়মন্ড নেকলেস ঘুস হিসেবে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেওয়ার প্রেক্ষিতেই দামি এসব জিনিস উপহার হিসেবে পান তিনি।

কিমের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং গত বছরের সাধারণ নির্বাচনের সময় প্রার্থী মনোনয়নে হস্তক্ষেপের অভিযোগও রয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম