গান ডিমেনশিয়ার প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে: গবেষণা
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
গান শুধু মেজাজ ভালো রাখে না, এটি ডিমেনশিয়ার প্রভাবও কমাতে সাহায্য করতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, গান শুধু মেজাজ ভালো রাখে না, এটি ডিমেনশিয়ার প্রভাবও কমাতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিচিত গান মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে সক্রিয় করে, যা স্মৃতি, মনোযোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া হল একটি স্নায়ুবিক অবস্থা, যা স্মৃতিভ্রংশ, যোগাযোগের সমস্যার পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটায়। যদিও এর সম্পূর্ণ চিকিৎসা নেই, তবে ডাক্তার ও গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, সঙ্গীত থেরাপি উপসর্গ কমাতে এবং মানসিক দক্ষতার হ্রাস ধীর করতে সহায়ক হতে পারে।
বিশেষ করে পুরোনো ও পরিচিত গান শোনা মস্তিষ্কের একাধিক অংশকে একসাথে সক্রিয় করে — যেমন স্মৃতি, ভাষা, মনোযোগ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণের অংশ। এই বহুমাত্রিক সক্রিয়তা মানসিক ব্যায়ামের মতো কাজ করে, যা মস্তিষ্ককে দীর্ঘ সময় ধরে সতেজ রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পরিচিত সুর শোনার সময় মস্তিষ্কে স্নায়ুবিক সংযোগ শক্তিশালী হয়, বিশেষ করে স্মৃতি ও মনোযোগ নিয়ন্ত্রণকারী অঞ্চলে। এই সংযোগগুলো ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির মানসিক কার্যক্রম এবং আবেগগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন, সঙ্গীতের কল্পনাশীল ও আবেগগত দিক মস্তিষ্ককে শান্ত করে, উদ্বেগ এবং অস্থিরতা কমায়, যা ডিমেনশিয়ার রোগীদের মধ্যে সাধারণ সমস্যা।
পুরোনো গানগুলি প্রায়শই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এগুলো শোনার সময় রোগীরা অতীতের অভিজ্ঞতার সঙ্গে পুনঃসংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং নিজের পরিচয় বজায় রাখতে পারে। এই আবেগগত সম্পৃক্ততা শুধুমাত্র মানসিক কার্যক্রম বাড়ায় না, সামাজিক যোগাযোগ এবং সম্পর্কও উন্নত করে, যা মোট মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

