Logo
Logo
×

টিপস

ভেজানো খেজুর খেলে শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে

Icon

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১১ পিএম

ভেজানো খেজুর খেলে শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটে

খেজুর একটি মিষ্টি ও আঠালো ফল, যা গাছ থেকে উৎপন্ন হয় এবং বৈজ্ঞানিক নাম ‘ফিনিক্স ড্যাক্টিলিফেরা’। বিশ্বব্যাপী এটি জনপ্রিয় এবং এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। খেজুরে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন (বিশেষত ভিটামিন বি৬), খনিজ (পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি একটি প্রাকৃতিক চিনির উৎসও, যার কারণে খেজুর খাওয়ার পর শরীরে তৎক্ষণাত শক্তি পাওয়া যায়।

খেজুরের সঠিক উপকারিতা পেতে পরামর্শ দেওয়া হয়, ভেজানো খেজুর খাওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভেজানো খেজুর খাওয়ার সুবিধা-

ফাইবার সমৃদ্ধ: ভেজানো খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এর উচ্চ ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

শক্তি বৃদ্ধি: খেজুর একটি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস, বিশেষ করে চিনি ও কার্বোহাইড্রেটের জন্য। এটি শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক কার্যকলাপের জন্য আদর্শ খাবার।

হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নতি: খেজুরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া, ভেজানো খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নতি: ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাগনেশিয়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

হজমে সহায়তা: ভেজানো খেজুরের উচ্চ ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: খেজুরের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যার ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হঠাৎ শর্করার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভেজানো খেজুরে ভিটামিন এ ও সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নতি: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকায়, ভেজানো খেজুর ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং ত্বককে পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

ভেজানো খেজুর খাওয়ার উপায়: ভেজানো খেজুর খাওয়ার পদ্ধতি ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে। কেউ এটি সরাসরি খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ স্মুদিতে, বেকিংয়ে বা ওটমিল, সালাদ, দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন।

পরামর্শ:

খেজুরে ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক শর্করা বেশি থাকে, তাই এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য পরিমাণে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম