ইসবগুলের ভুসি সঠিক পদ্ধতিতে খাওয়ার নিয়ম জানুন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসবগুলের ভুসি, যা সাইলিয়াম হাস্ক নামেও পরিচিত, ভারতীয় উপমহাদেশে একটি পরিচিত এবং কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইসবগুলের বীজের বাইরের আবরণ বা ভুসি, যা শুষ্ক করে আলাদা করা হয়, অনেকের কাছে একটি জাদুকরী উপাদান হিসেবে পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা পানি শোষণ করে ফুলে গিয়ে একটি জেল তৈরী করে। এই জেল অন্ত্রের জন্য উপকারী, কারণ এটি মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, সঠিক পরিমাণে এবং যথাযথভাবে ইসবগুলের ভুসি ব্যবহারে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। এনডিটিভি সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হলো:
১. অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের স্বাস্থ্য রক্ষা: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেলে মলের মাইক্রোবায়োটার গঠন পরিবর্তিত হয় এবং অন্ত্রে শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের জন্য উপকারী।
২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা: ইসবগুলের ভুসি অন্ত্রে পিত্ত অ্যাসিডের সঙ্গে মিশে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে, যার ফলে কোলেস্টেরলের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রক্তে শর্করা বাড়ানোর সমস্যা থাকলে, ইসবগুলের ভুসি খাদ্য শোষণ ধীর করে দেয়, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ানো আটকায়।
৪. ওজন কমাতে সহায়ক: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে ইসবগুলের ভুসি গ্রহণ করলে তা অতিরিক্ত ওজন বাড়ানো আটকায় এবং এটি বিএমআই বা কোমরের মাপ কমাতে সাহায্য করে।
৫. মলত্যাগ সহজ করে: ইসবগুলের ভুসি পানি শোষণ করে ফুলে গিয়ে অন্ত্রে নরম জেল তৈরি করে, যা মল নরম করতে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ায় উপকারী: এটি শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, ডায়রিয়া বা আলগা মলের সমস্যাতেও উপকারি। এর ব্যবহার অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে এবং মলত্যাগের গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্যবহারের উপায়: অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১-২ চা চামচ ইসবগুলের ভুসি সন্ধ্যা খাবারের সময় বা ঘুমানোর আগে খাওয়া যেতে পারে। তবে, এটি যথাযথভাবে পানির সাথে খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অতিরিক্ত পানির অভাবে পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
সবশেষে, যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ইসবগুলের ভুসি ব্যবহারের আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র- এনডিটিভি
