শীতের শুরুতেই বাড়ছে সর্দি-জ্বর, তিন দিনে না কমলে কী করবেন?
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শীতের হাওয়া বইতে শুরু করতেই ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে সর্দি-জ্বর ও শুকনো কাশির উপদ্রব। অনেকে বলছেন, কাশি সারতে সময় লাগছে, গলার স্বর বদলে যাচ্ছে আর জ্বর কমলেও দুর্বলতা দীর্ঘদিন ধরে কাটছে না।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর মানেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত এ ধরনের ভাইরাল জ্বর দুই থেকে তিন দিন স্থায়ী হয়। তবে জ্বর ও গা-গরমভাব তিন দিনের বেশি থাকলে সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো উচিত।
তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বাড়ে। অ্যাডিনোভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বা রোটাভাইরাসের মতো জীবাণুর উপস্থিতি বাড়ায় সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপ।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শরীরে ঢুকলে শ্বাসনালির উপরের অংশে প্রদাহ তৈরি হয়। এতে সর্দি-জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট ও স্বর পরিবর্তনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তারা আরও আশঙ্কা করছেন এই মৌসুমে শুধু ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়, এ ধরনের আরও কয়েকটি ভাইরাস সক্রিয় হয়েছে। শীতকালে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ে এবং আর্দ্রতা কম থাকার ফলে ধুলো ও ভাইরাস শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে সহজে শরীরে ঢুকে পড়তে পারে। এজন্যই সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে গেছে।
গলা ব্যথা ও হালকা জ্বরের অন্যতম কারণ টনসিলাইটিস ও ফ্যারেঞ্জাইটিস। নাকের পেছনে শ্বাসনালির গোড়ায় থাকা টনসিল ও ফ্যারিংস শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে অনেক সময় জীবাণুর আক্রমণে তারাই প্রদাহগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি বা কথাবার্তার মাধ্যমেও এই জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে টনসিলে প্রদাহ, শুকনো কাশি, গলা ভাঙা বা গলার স্বর বদলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
সংক্রামক এসব অসুখ থেকে বাঁচতে ভিড় এড়িয়ে চলা, বাজার-দোকান বা গণপরিবণে নাক-মুখ ঢেকে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকেরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কোভিডের সময় যে মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস তৈরি হয়েছিল তা ফিরিয়ে আনলে অনেকটাই সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। জ্বরের সময় ভাত, ডাল, রুটি, দুধ, ডিম, চিকেন বা সবজির স্ট্যুর মতো সহজপাচ্য খাবার খাওয়া যেতে পারে। তবে মৌসুম বদলের সময় ঠান্ডা পানি, বোতলজাত ঠান্ডা পানীয় বা অতিরিক্ত এসি ব্যবহার না করাই ভালো।

