জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাড়িয়ে তোলে ক্যানসারের ঝুঁকি
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
ক্যানসারের কোষ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কেউ জানে না কেন ক্যানসার হয়। এর কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই কারও কাছেই। তবে ধারণা করা যাচ্ছে, ক্যানসার শুধুই বংশগত রোগ। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন অন্য কথা- অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইলও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ভবিষ্যতে ক্যানসারের অন্যতম ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’।
আবার কিছু বিষয় আছে যেগুলো ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, প্রতিদিনের জীবনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
জেনে নিন ক্যানসারের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো কী কী?
> প্রথমেই ধূমপান ছাড়ুন। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, তামাকজাত দ্রব্যে প্রায় ৭০টি কার্সিনোজেনিক উপাদান রয়েছে। ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকিই বাড়ায় না। মুখ, প্যানক্রিয়াসসহ আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধি পেতে পারে ধূমপানের কারণে। তাই ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা পেতে এখনই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ।
> মদপান চলবে না। মদপান মানেই বিষপান। ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের মতে, যতই নিয়ন্ত্রণে মদপান করুন, তাতেও স্তন, লিভার ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরে অ্যালকোহল ভেঙে অ্যাসিটালডিহাইডে পরিণত হয়। এটি একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা ডিএনএ'র ক্ষতি করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
> প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। বর্তমানে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো— প্রক্রিয়াজাত খাবার। সসেজ, সালামি, চিনি মেশানো খাবার, বোতলবন্দি সফট ড্রিংক্স ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে হলে তাজা ফল, শাকসবজিই বেশি বেশি করে খেতে হবে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
পাশাপাশি শরীরচর্চা করা ভীষণ জরুরি। কারণ দিনের ৮-৯ ঘণ্টা টানা এক জায়গায় বসে বা শুয়ে থাকলেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। শরীর যত বেশি সক্রিয় রাখবেন, তত সুস্থ জীবন কাটাতে পারবেন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াকিং, সাইক্লিং, যোগব্যায়ামের মতো অ্যাক্টিভিটিস করা দরকার। এতে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, প্রদাহ কমে এবং ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী হয়। যেহেতু ওবেসিটির সঙ্গেও ক্যানসারের যোগ রয়েছে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

