|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বোন ক্যানসার হাড়ে আক্রমণ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এরকম একটি মারাত্মক ক্যানসারের ধরন। শুরুতে এটি সাধারণ ব্যথা বা ফোলার মতো মনে হতে পারে, তবে সময়মতো চিকিৎসা না নিলে প্রাণঘাতী হতে পারে।
উত্তর প্রদেশের আগরার এস.এন. মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে এই রোগের হার বাড়ছে, তাই প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে কখনোই অবহেলা করা যাবে না। অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. অমৃত গয়াল বলেছেন, সময়মতো শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী:
ডা. গয়ালের মতে, বোন ক্যানসার মূলত দুই ধরনের বয়সীদের বেশি প্রভাবিত করে—
> শিশু-কিশোর (শৈশব থেকে ১৭ বছর)
> ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ মানুষ
শিশুদের ক্ষেত্রে হাড় দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তবে তারা প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালো সাড়া দেয়। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে রোগ দ্রুত অগ্রসর হয় এবং চিকিৎসা জটিল হয়ে ওঠে। কখনও কখনও আক্রান্ত হাড় কেটে কৃত্রিম অঙ্গ বসাতে হয়।
প্রাথমিক লক্ষণ:
> হাড়ে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা
> হাড়ের চারপাশে ফোলা বা শক্ত ভাব
> স্পর্শ করলে তীব্র ব্যথা
> হাড় সহজে ভেঙে যাওয়া
ডা. গয়াল বলেছেন, রোগীরা প্রায়ই ব্যথা সহ্য করে বা ঘরোয়া ব্যথানাশক ব্যবহার করে, যা সমস্যার মূল চিকিৎসা দেয় না।
রোগ শনাক্ত ও চিকিৎসা:
এক্স-রে ও এমআরআই পরীক্ষা বোন ক্যানসার নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রোগের সঠিক অবস্থান ও তীব্রতা জানা গেলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। যদি ক্যানসার হাড় ছাড়িয়ে অন্যান্য অংশে ছড়ায়, তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। তাই প্রাথমিক ব্যথা বা ফোলাকে অবহেলা করা উচিত নয়।
ডা. গয়াল আরও বলেছেন, সচেতনতা বাড়ালে অনেক জীবনের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। শিশু ও প্রবীণদের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হাড়ের ব্যথা বা অস্বাভাবিক ফোলা হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। সময়মতো চিকিৎসা নিলে বোন ক্যানসার সফলভাবে মোকাবিলা করা যায়।
সূত্র- ইন্ডিয়া ডট কম

