ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর জেনিফার লরেন্স
আনন্দনগর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জেনিফার লরেন্স, হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়েও বেশ সচেতন তিনি। এ মুহূর্তে অভিনেত্রী তার নতুন সিনেমা ‘ডাই মাই লাভ’ প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এটি তিনি প্রযোজনাও করেছেন। সম্প্রতি এ প্রচারণার অংশ হিসাবে দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের ‘দ্য ইন্টারভিউ’ পডকাস্টে উপস্থিত হয়েছিলেন জেনিফার এবং সেখানে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সমকালীন মার্কিন রাজনীতি সম্পর্কেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। অস্কার বিজয়ী এ অভিনেত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলের সময়ও তার বিরুদ্ধে স্পষ্টভাষী ছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের পর একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, যেখানে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ট্রাম্পের বিজয়ের অর্থ হলো ‘(আমেরিকাতে) যারা নিরাপদ বোধ করে, তাদের অধিকার স্বীকৃত এবং সম্মানিত এবং তারা শুধুই শ্বেতাঙ্গ।’
এ সময়ে এসেও জেনিফার ট্রাম্পের সমালোচনা করতে পিছপা হন না। ‘দ্য ইন্টারভিউ’র উপস্থাপক লুলু গার্সিয়া-নাভারো যখন ট্রাম্প এবং রাজনীতি সম্পর্কে অভিনেত্রীর মতামত জানতে চান, তখন লরেন্স উত্তর দেন, ‘আমি আসলে জানি না এ নিয়ে আমার কথা বলা উচিত কি না। প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন এতটাই বর্বর ছিল, তা ভাবলেই তো এখনো মাথা ঘোরে। এখনো আমরা কীভাবে এটিকে চলতে দিতে পারি? তখন আমার মনে হচ্ছিল আমি মাথা কাটা মুরগির মতো দৌড়াচ্ছি। নির্বাচনের পর নির্বাচন হচ্ছে আমেরিকায়, কিন্তু পরিস্থিতির কোনো বদল হচ্ছে না। সেলেব্রিটিরা কাকে সমর্থন করল, কাকে ভোট দিল, তাতে কোনো পার্থক্য তৈরি হয়ে যায় না। তবে আমি শুধু এমন কিছু সম্পর্কে আমার মতামত শেয়ার করতে পারি, যা আগুনে ঘি ঢালবে, যা দেশকে ভেঙে ফেলবে। আমরা এত বিভক্ত!’
আমেরিকান সিনেমায় ট্রাম্পের শতভাগ শুল্ক নীতির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা একটি জটিল পুনর্নির্মাণের মধ্যে আছি। কারণ আমিও একজন শিল্পী। ট্রাম্প মোটেও শিল্পবান্ধব নন। এটা ইন্ডাস্ট্রিতে তার ভক্তরাও বুঝতে পারছেন এতদিনে। তবু তাদের চেতনা আমি পরিবর্তন করতে পারব না, কারণ তারা আমার রাজনৈতিক মতামত পছন্দ করে না। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না, যদি না পরিস্থিতি যিনি সৃষ্টি করেন, তার পরিবর্তন না হয়। আমি আমার শিল্পকে রক্ষা করতে চাই, এ কারণেই আমাকে এসব নিয়ে কথা বলতে হয়।’
লরেন্স উল্লেখ করেছেন, তিনি কাজের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক বিশ্বাস প্রকাশ করতে সক্ষম, যেমন নিজের প্রযোজনা সংস্থা থেকে তিনি যে সিনেমাগুলো তৈরি করছেন। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ব্রেড অ্যান্ড রোজেস’, যেখানে ২০২১ সালের তালেবান আক্রমণের প্রভাবের মধ্যে আফগানিস্তানের তিন নারীর গল্প বলা হয়েছে এবং ‘জুরাভস্কি বনাম টেক্সাস, যা একটি গর্ভপাতের তথ্যচিত্র। লরেন্স বলেন, ‘আমি আমার কাজের মাধ্যমে আমার রাজনীতি প্রকাশ করার চেষ্টা করি। আমার প্রযোজনা সংস্থা থেকে আসা অনেক সিনেমা রাজনৈতিক দৃশ্যপটের প্রকাশ এবং আমি মনে করি এভাবেই মানুষের কাছে আমার বক্তব্য পৌঁছাতে পারি।’ উল্লেখ্য, লরেন্সের নতুন সিনেমা ‘ডাই মাই লাভ’ গতকাল মুক্তি পেয়েছে।

