জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ঢাকা
আশিক আহমাদ
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দারুল উলুম দেওবন্দের আকাবিরের চিন্তাচেতনা ও মন-মানসিকতার আলোকে রাসূল (সা.)-এর যোগ্য উত্তরসূরি তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে একটি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা সামনে রেখে ১৯৮৮ সালের ১৫ এপ্রিল আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী (রহ.) জামিয়া মাদানিয়ার ভিত্তি স্থাপন করেন। জামিয়া সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবধি (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া) বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সব কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারসহ সব বিভাগেই কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে সুনামের সঙ্গে এ ধারাকে অব্যাহত রেখেছে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : সাহাবায়ে কেরাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন, আকাবিরের দ্বীন ও সালফে সালেহীনের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের আলোকে কুরআন ও সুন্নাহর পরিপূর্ণ শিক্ষা প্রদান।
বিভাগগুলো : জামিয়ার বিভাগগুলো প্রধানত চার স্তরে বিন্যস্ত। এগুলো হলো-১. মক্তব বিভাগ; ২. হিফজ বিভাগ; ৩. কিতাব বিভাগ এবং ৪. ছাত্র প্রশিক্ষণ বিভাগ। এর মধ্যে বৃহত্তম হলো কিতাব বিভাগ। এতে বর্তমানে ৯টি স্তর রয়েছে। ক. ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাথমিক); খ. মুতাওয়াসসিতা (মাধ্যমিক); গ. সানাবিয়া (উচ্চ মাধ্যমিক); ঘ. ফজিলত (স্নাতক); ঙ. তাকমিল বা দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর বিশেষ এবং আবশ্যিক স্তর); চ. তাফসির (কুরআন গবেষণা বিভাগ); ছ. আদাব (আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ); জ. কিরাত ও তাজবিদ বিভাগ এবং ঝ. ইফতা বিভাগ (ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ)।
সিলেবাসভুক্ত কিতাবাদির শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বহুমুখী প্রতিভার বিকাশ ও অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার পরিস্ফূটনের লক্ষ্যে ছাত্র প্রশিক্ষণের নিমিত্তে নিম্নোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে-ক. ছাত্র পাঠাগার; খ. মাসিক দেয়াল পত্রিকা; গ. সাহিত্য মজলি; ঘ. সাপ্তাহিক বক্তৃতা মজলিস; ঙ. বিষয়ভিত্তিক তারবিয়াত ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা; ৫. ফতওয়া ও ফারায়েজ বিভাগ; ৬. কুতুবখানা (মাদ্রাসা লাইব্রেরি); ৭. লিল্লাহ বোর্ডিং; ৮. আবাসিক ছাত্রাবাস; ৯. খেদমতে খালক বা সমাজসেবা বিভাগ; ১০. হস্তশিল্প ও কারিগরি বিদ্যা; ১১. রচনা ও গবেষণা বিভাগ; ১২. কম্পিউটার ও প্রকাশনা বিভাগ; ১৩. মিডিয়া বিভাগ; ১৪. দাওয়াত ও তাবলিগ বিভাগ; ১৫. শিল্প-সাহিত্য বিভাগ; ১৬. তাজকিয়ায়ে ও আত্মশুদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি ইংরেজি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবারে হজরত মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি (রহ.) প্রতিষ্ঠিত খানকাহে মাহমুদিয়ার তত্ত্বাবধানে ইসলাহী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং দৈনিক শেষ রাতে জামিয়ার মুহতামিম সাহেবের অংশগ্রহণে হালকায়ে জিকিরের আমল চলে।
