Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস তারুণ্য

বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাব কার্যক্রম

ভবিষ্যৎ সাফল্যের সহযাত্রী

Icon

রাশেদুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ইট-কাঠের প্রাচীর নয়। এটি স্বপ্নের মাঠ, সম্ভাবনার বীজতলা। এখানে ক্লাসরুমের পড়া যেমন পথ দেখায়, তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমের ক্লাবগুলো শেখায় উড়তে, দাঁড়াতে, বলতে এবং বদলে দিতে। পাঠ্যপুস্তক সমৃদ্ধ করে জ্ঞানভান্ডার, আর ক্লাব কার্যক্রম তৈরি করে ভাবনার জমি, বপন করে নেতৃত্বের বীজ, জাগায় অন্তর্গত শিল্পবোধ ও সৃজনশীলতার আকাঙ্ক্ষা। লিখেছেন- রাশেদুল ইসলাম

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দীর্ঘ চার বা পাঁচ বছরের পথে ক্লাবই হতে পারে একজন শিক্ষার্থীর সত্যিকারের আয়না; যেখানে দেখা যায় তার দক্ষতা, দুর্বলতা, স্বপ্ন ও সম্ভাবনা। শ্রেণিকক্ষ দেয় সার্টিফিকেট, কিন্তু ক্লাব দেয় অভিজ্ঞতা। জীবন নামের পরীক্ষায় উত্তর লেখার সাহস শেখায় ক্লাবই। এ রচনায় তুলে ধরা হলো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থাকা বিভিন্ন ক্লাবের কথা; যেগুলো ভূমিকা রাখছে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও ভবিষ্যৎ সাফল্যের সোপান হিসাবে।

অভিজ্ঞতার বিশাল ভান্ডার

একজন শিক্ষার্থী যখন প্রথমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পা রাখে, তার সামনে খুলে যায় পৃথিবীর মানচিত্র। কিন্তু এ পথ একা হাঁটা যায় না। প্রয়োজন দিকনির্দেশনা, প্রয়োজন হাত বাড়িয়ে দেওয়া একটি সংগঠন। ক্লাব কার্যক্রম তাই শুধু সময় কাটানোর মাধ্যম নয়; এটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের সিঁড়ি। এখানে শিখি-কীভাবে কথা বলতে হয় হাজার মানুষের সামনে, কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় ব্যর্থতার গা ঘেঁষে, কীভাবে দল গড়ে লক্ষ্য জয় করতে হয় এবং কীভাবে মানুষ হয়ে উঠতে হয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বই শেখায় তথ্য, ক্লাব শেখায় প্রয়োগ। বই বলে কীভাবে কাজটা করা হয়; ক্লাব বলে এসো, নিজেই করে দেখ।

একটি ক্লাবে যুক্ত হলে শিক্ষার্থী শেখে নেতৃত্ব, দলে কাজ করা, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, সমস্যা সমাধান, সংকটে সিদ্ধান্ত নেওয়া, যোগাযোগ দক্ষতা, পোস্টার ডিজাইন, ইভেন্ট আয়োজন, সভা পরিচালনা; প্রতিটি কাজে লুকিয়ে থাকে নতুন দক্ষতার বীজ। ধীরে ধীরে লাজুক কণ্ঠ পায় দৃঢ়তা, কাঁপা হাত হয়ে ওঠে পরিচালকের কলম। এভাবেই গড়ে ওঠে আত্মবিশ্বাসময় এক মানুষ।

পেশাগত জীবনের প্রস্তুতি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলো শুধু ক্যাম্পাসের ভেতর সীমাবদ্ধ নয়। তারা পথ দেখায় করপোরেট জগতেও। অনেক ক্লাবে হয় সেমিনার, কর্মশালা, নেটওয়ার্কিং, ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট। সেখানে উপস্থিত থাকেন অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা, যাদের কথা একেকটা বাতিঘরের মতো পথ দেখায় তরুণ প্রজন্মকে। কেউ হয় উদ্যোক্তা, কেউ হয় গবেষক, কেউ হয় সাংবাদিক, আবার কেউ হয়ে ওঠে করপোরেট লিডার। ক্লাব কার্যক্রমের অভিজ্ঞতাই হয়ে ওঠে তাদের প্রথম সিঁড়ি। রাত জেগে আয়োজনের পরিকল্পনা, ইভেন্টের বাজেট তৈরি, অতিথি ব্যবস্থাপনা-এসব শুধু কাজ নয়, এগুলো কর্মজীবনের ট্রেনিং। ডিগ্রি দেয় চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা, ক্লাব দেয় চাকরিতে টিকে থাকার ক্ষমতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো যেন রঙতুলি। থিয়েটার ক্লাব শেখায়-জীবন মঞ্চ, মানুষরাই চরিত্র। মিউজিক ক্লাব শেখায়-কথা নয়, সুরও কথা বলে। আর্ট ক্লাব শেখায়-রঙের মধ্যেও আছে প্রতিবাদের ভাষা। এখানে শুধু গান বা ছবি নয়, আছে মুক্তি, বোধ; আছে ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাস’।

রোভার ও বিএনসিসি

সমাজের প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন ঘটে দুটি সর্বজন সমাদৃত সংগঠন বাংলাদেশ স্কাউটের রোভার সংগঠন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের মাধ্যমে। সদা প্রস্তুত রোভারিংয়ের মাধ্যমে একজন দায়িত্বশীল স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিজেকে তৈরি করা যায়। জ্ঞান, শৃঙ্খলা, একতা-এ তিন মূলমন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন ক্যাডেট সার্জেন্ট সজীবুর রহমান সজীব বলেন, বিএনসিসি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর) একটি স্বেচ্ছাসেবী ও আধা সামরিক সংগঠন, যা দেশের স্বার্থে কাজ করে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্ব গড়ে তোলে।

বিতর্ক সংগঠন

নিজ মেধা ও যুক্তি প্রদানের ক্ষমতা শাণিত করার এক অনন্য উপায় নিজেকে একজন দক্ষ বিতার্কিক হিসাবে গড়ে তোলা। একটি বিতর্ক সংগঠন থেকে শুধু বিতার্কিক নয়, বরং নিজেকে দক্ষ সংগঠক হিসাবেও তৈরি করা সম্ভব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিতার্কিকদের জন্য রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগে বিতর্ক ক্লাব রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশনের বিতার্কিক ও আর্কিওলজি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি সুমাইয়া আক্তার হিয়া বলেন, বর্তমান বিশ্বে কমিউনিকেশনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। করপোরেট, শিক্ষকতা বা ডেভেলপমেন্ট সেক্টর, যে ক্ষেত্রেই ক্যারিয়ার গড়তে চান, কমিউনিকেশনে দক্ষতা ছাড়া এগোনো কঠিন।

সাংবাদিকতার সংগঠন

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সংগঠনগুলো প্রায়ই নানা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। নিয়মিত নানা সাময়িকী, বার্ষিকী কিংবা ক্যাম্পাস পত্রিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে সাংবাদিকতার লেখনি শাণিত করার যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ সংবাদিক ও ভোরের ডাক পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আমির ফয়সাল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে আমার নতুন পথচলা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই আমি চাইতাম ভিন্ন কিছু করতে-যেখানে শেখার সুযোগ আছে, নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ আছে।

ফটোগ্রাফি ও অ্যাস্ট্রোলজি

ফটোগ্রাফার হতে চাইলেই যে ফটোগ্রাফি সংগঠনে যুক্ত হতে হবে এমন নয়, ফটোগ্রাফির প্রাথমিক জ্ঞান জীবনে চলার পথে অনেক কাজে আসে। এমন আরও একটি অভিনব সংগঠন হচ্ছে অ্যাস্ট্রোলজি সংগঠন। এ সংগঠনের কার্যক্রম কিছুটা ব্যয়বহুল হলেও এদের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা নতুন মাত্রা তৈরি করে। জাহাঙ্গীরনগর ফটোগ্রাফিক সোসাইটি নামেও একটি ক্লাব রয়েছে।

ক্যারিয়ার ক্লাব

বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার ক্লাব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সাহায্য করে। শুধু ডিগ্রি পেলেই চাকরি হয় না। প্রয়োজন দক্ষতা ও প্রস্তুতি। ক্যারিয়ার ক্লাব সেই প্রস্তুতির সুযোগ দেয়। এখানে সিভি লেখার নিয়ম শেখানো হয়। মক ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। চাকরি ও ইন্টার্নশিপের তথ্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এসে পরামর্শ দেন। এ ক্লাবে কাজ করে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব, যোগাযোগ ও দলগত কাজের অভ্যাস গড়ে তোলে। কেউ কেউ এখান থেকে ইন্টার্নশিপও পায়। কেউ চাকরি, কেউ উদ্যোক্তা হওয়ার পথে এগিয়ে যায়। ক্যারিয়ার ক্লাব তাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ায় সহযোগী বন্ধু। সঠিক দিকনির্দেশনা পেয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

রিসার্চ সোসাইটি

রিসার্চ সোসাইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ দেয়। এখানে গবেষণার মৌলিক নিয়ম, তথ্যসংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করার পদ্ধতি শেখানো হয়। এ সংগঠন শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী হতে সাহায্য করে। সোসাইটির সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে। তারা মাঠে গিয়ে তথ্য নেয়, বই-পত্র দেখে তুলনা করে এবং শেষে রিপোর্ট তৈরি করে। অনেক সময় তারা নিজেরাই সেমিনারে গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে। রিসার্চ সোসাইটি সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং পেপার প্রেজেন্টেশন আয়োজন করে। এতে শিক্ষার্থীরা গবেষণা করার আত্মবিশ্বাস পায়।

অনুষদভিত্তিক সংগঠন

বিভিন্ন অনুষদভিত্তিক, যেমন- বিজ্ঞান সংগঠন/সোসাইটি কিংবা বিভাগভিত্তিক যে কোনো সংগঠন, এসব সংগঠনের নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা থাকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এসব সংগঠন প্রায়ই নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেবল পরীক্ষা, গ্রেড বা ক্লাসে সীমাবদ্ধ হলে চলবে না। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্লাব সংগঠনের প্রয়োজন। এখানে নিজেকে তৈরি করা যায়, নিজেকে অনন্য করা যায়, নিজেকে প্রমাণ করা যায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেই প্রশ্ন হওয়া উচিত-‘কোন ক্লাবে যাব?’ কারণ যে ক্লাব ধরে রাখে আজকের তরুণকে, তারাই গড়ে আগামী দিনের দেশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ক্লাব

দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সায়েন্স ক্লাব কাজ করছে। এসব ক্লাব শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শেখা ও ভাবনার সুযোগ তৈরি করে। শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, হাতে-কলমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রযুক্তি শেখাতেও তারা উদ্যোগ নেয়। সায়েন্স ক্লাব সাধারণত সেমিনার, ওয়ার্কশপ, সায়েন্স ফেস্ট, রোবোটিক্স প্রশিক্ষণ, গণিত অলিম্পিয়াড, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং গবেষণাপত্র উপস্থাপনীর মতো কর্মসূচি আয়োজন করে। এসব আয়োজন শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ বাড়ায়। অনেক ক্লাবে উপদেষ্টা শিক্ষক, কার্যকরী কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক দল থাকে। সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়। কেউ রোবট বানায়, কেউ গবেষণা করে, কেউ আবার ম্যাগাজিন প্রকাশ করে বিজ্ঞান-সংক্রান্ত লেখা ছড়িয়ে দেয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মো. সৌরভ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সায়েন্স ক্লাব (জেইউএসসি) শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতা বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান মেলা, কর্মশালা, গণিত অলিম্পিয়াড এবং গবেষণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করছি।

সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা

নাট্য-নৃত্য, সংগীত, কবিতা আবৃত্তি এবং চিত্রকলা-সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোতে সুপ্ত প্রতিভা চর্চা এবং প্রকাশের সুবর্ণ সুযোগ থাকে। প্রয়োজন শুধু আগ্রহ এবং দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সংগঠনগুলোতে যুক্ত হওয়া। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বনি, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার অডিটোরিয়াম, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার টিএসসি, জলসিঁড়ি, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ, জাহাঙ্গীরনগর সিনে সোসাইটি, চারণ, ইন্ডিজেনাস কালচারাল অর্গানাইজেশন (আরফি), নাট্যমসহ আরও অনেক সংগঠন রয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির সভাপতি দেবাঞ্জনা দেব বলেন, শব্দ, সুর, তাল ও ছন্দ শুধু বিনোদন নয়; তা মানুষের মননকে পরিশীলিত করে, ভাষাকে শাণিত করে এবং যুক্তিবোধকে জাগিয়ে তোলে। আমাদের প্রতিটি আয়োজনে তাই শিক্ষার্থীরা শুধু শ্রোতা হয়ে উপস্থিত থাকে না, বরং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে। কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশনা, বাচনভঙ্গি প্রশিক্ষণ, মৌলিক সৃষ্টির চর্চা-এসবের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের মনে সৃজনশীলতা জাগাই, ভাবের গভীরতা বাড়াই এবং আত্মবিশ্বাসের উন্মেষ ঘটাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণরা এখান থেকেই শেখে-কণ্ঠে কীভাবে সত্য উচ্চারিত হয়, কীভাবে ভাষা হয়ে ওঠে আত্মপ্রকাশের শক্তিমান মাধ্যম। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, যে শিক্ষার্থী এখানে যোগ দেয় সে যেন শব্দের সঠিক ব্যবহার, আবেগের শুদ্ধ প্রকাশ এবং যুক্তির মিহি সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে শেখে। আমাদের লক্ষ্য শুধু ভালো আবৃত্তিকার বা শিল্পী তৈরি করা নয়; বরং এমন মানুষ তৈরি করা, যার কণ্ঠে থাকবে সততা, চিন্তায় থাকবে স্বচ্ছতা এবং মননে থাকবে মানবিক দীপ্তি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম