|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ আজ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে। নগরায়ণ, শিল্পায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেশের সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলেছে। কিন্তু এই অগ্রযাত্রার ছায়ায় পরিবেশ ক্রমশ সংকটাপন্ন হচ্ছে। বায়ুদূষণ, নদী ও মাটির দূষণ এবং শহরের শব্দদূষণ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বায়ুদূষণ আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্প বর্জ্য এবং ইটভাটার ধুলো; সব মিলিয়ে মানুষের শ্বাস নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নদ-নদীর অবস্থাও ভয়াবহ; শিল্প কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য নদীর পানিকে দূষিত করছে, মাছ ও জলজ প্রাণীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, পরিবেশ আদালত আইন ২০১০, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-এসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করায়, সামান্য জরিমানা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিতভাবে আইন লঙ্ঘন করতে উৎসাহিত করছে। পরিবেশ রক্ষা এখন কেবল প্রশাসন বা আইন প্রণেতার দায়িত্ব নয়; রাষ্ট্র, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক-সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ আদালত শক্তিশালী করা, দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি-এসব পদক্ষেপ অবিলম্বে কার্যকর করা জরুরি। উন্নয়ন জরুরি; কিন্তু পরিবেশের বিনাশের বিনিময়ে কোনো অগ্রগতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। নীরব আইনের ছায়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে থাকা পরিবেশ রক্ষাই এখন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ।
তাকবির জাহান, শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
