গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কী কী ঝুঁকি রয়েছে, সেক্ষেত্রে করণীয়
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
অন্তঃসত্ত্বা নারী। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে মা ও শিশুর জন্য নানা জটিলতা সৃষ্টি করে।এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বড় শিশুর জন্ম, অকাল প্রসব এবং পরবর্তী জীবনে শিশুর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে মায়ের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বড় আকারে শিশুর জন্ম যেটাকে আমরা Macrosomia বলি, তা হতে পারে। অতিরিক্ত গ্লুকোজের কারণে শিশুর ওজন বেশি হয় যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে।
আরেকটি হলো অকালে প্রসব হতে পারে যেটাকে আমরা Pre term delivery বলি। শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে; জন্মের পরে যেটাকে আমরা Hypoglycemia বলি। তখন শিশুর শরীরে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরির কারণে জন্মের পর রক্তে গ্লুকোজ কমে যায়।
আরও পড়ুন
জন্মের পর শিশুর জন্ডিস এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে শিশুর হার্ট, মেরুদণ্ড বা কিডনিতে জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অ্যামনিওটিক অ্যামোনিওটিক ফ্লুইড ( AFI) বেড়ে যেতে পারে। তখন অন্যান্য জটিলতার কারণে সিজারিয়ান ডেলিভারির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থার পর এই মায়েদের ভবিষ্যতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
করণীয়
যেহেতু গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করাই যাবে- এমন কথা বলা যায় না। তবুও কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুস্থ ও ভালো রাখা যায়।
গর্ভাবস্থায় বেশি ফাইবার এবং কম ক্যালরি এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা যায়। ফল ও শাকসবজি এবং সঙ্গে পানি প্রচুর খেতে হবে এবং মিষ্টি জাতীয় খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। চিনি খাওয়া যাবে না।
লেখক: আয়শা আক্তার
উপপরিচালক
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল।

