ট্রাম্পের ভোজসভায় জায়গা হলো না সাদিক খানের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ালেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত/ফাইল
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ালেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের সঙ্গে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফরে ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করে সাদিক খানকে রাষ্ট্রীয় ভোজসভা থেকে বাদ দিয়েছেন।
ওয়াশিংটনে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাকে চাইনি।’ খানকে তিনি ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মেয়রদের একজন’ আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেন, তার নেতৃত্বে লন্ডনে ছুরি হামলা, অপরাধ ও অভিবাসন সমস্যার অবনতি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমার লন্ডন ও যুক্তরাজ্যের প্রতি গর্ব আছে। আমার মা স্কটল্যান্ডে জন্মেছিলেন। আর আমি যখন দেখি মেয়র খান খারাপ কাজ করছেন, ছুরি হামলা, ময়লা–আবর্জনা… তখন মনে হয় শহরটা আর আগের মতো নেই।’
পাল্টা সমালোচনা
এর আগে ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ লেখা এক নিবন্ধে সাদিক খান অভিযোগ করেছিলেন, ট্রাম্প বিভাজনমূলক ডানপন্থি রাজনীতিকে উসকে দিচ্ছেন এবং তা ‘রাস্তার রাজনীতিকে আরও বিষাক্ত করে তুলছে’। বুধবারও তিনি মন্তব্য করেন, ‘যারা বিভাজন তৈরি করতে চায়, তারা কখনোই জিতবে না।’
দুজনের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ২০১৫ সালে ট্রাম্পের মুসলিম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন খান। সেই থেকে শুরু হয় তাদের বাকযুদ্ধ। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সফরের সময় লন্ডনে আকাশে ওড়ানো হয়েছিল বিখ্যাত ‘ট্রাম্প বেবি’ বেলুন, যা অনুমোদন দিয়েছিল মেয়র খানের অফিস।
ট্রাম্পের লক্ষ্য ইলহান ওমরও
সাদিক খানের পাশাপাশি এবার ট্রাম্পের আক্রমণের শিকার হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসওমেন ইলহান ওমর। ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি সোমালিয়াকে ‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সন্ত্রাসবাদ, জলদস্যুতা ও গৃহযুদ্ধপীড়িত দেশ’ বলে কটাক্ষ করেন এবং ইলহান ওমরের নাগরিকত্ব নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ওমরকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে অভিহিত করেন এবং ইঙ্গিত দেন, তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।
কংগ্রেসে টানাপোড়েন
এর আগেই প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের আনা একটি প্রস্তাব—যেখানে ইলহান ওমরকে ভর্ৎসনা করার কথা বলা হয়েছিল—অতি অল্প ব্যবধানে (২১৪–২১৩) নাকচ হয়ে যায়।
ভোটাভুটিতে চারজন রিপাবলিকান ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যান। পরে ওমর সামাজিক মাধ্যমে সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘হাউসে মিথ্যা আরও এগিয়ে নেওয়া ঠেকাতে পেরে খুশি। এটি অবশেষে কিছুটা হলেও সুস্থতার প্রতিফলন।’


