Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইসলামাবাদের শান্তির বার্তা

উত্তেজনার মধ্যেও ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানাল পাকিস্তান

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ পিএম

উত্তেজনার মধ্যেও ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানাল পাকিস্তান

ভারতের কয়েক ডজন শিখ তীর্থযাত্রী ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। এ সময় পাকিস্তান তাদের স্বাগত জানায়। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান মঙ্গলবার ভারতের শিখ তীর্থযাত্রীদের একটি দলকে স্বাগত জানিয়েছে — এটি মে মাসে সীমান্তে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের সীমান্ত অতিক্রম।

এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কয়েক ডজন শিখ তীর্থযাত্রী ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন। তারা আসছেন গুরু নানক দেব জির ৫৫৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ১০ দিনের উৎসবে যোগ দিতে।

ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২,১০০-রও বেশি ভারতীয় তীর্থযাত্রীকে এই সফরের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছে।

মে মাসে দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় বহু প্রাণহানি ঘটে, যার পর সীমান্তে সাধারণ চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে তীর্থযাত্রীরা ভারতের দিকের সীমান্তে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান; এরপর তারা পাকিস্তানে প্রবেশ করলে স্থানীয় কর্মকর্তারা ফুল ও পাপড়ি ছিটিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় ১,৭০০ তীর্থযাত্রী সীমান্ত পার হওয়ার কথা রয়েছে, যদিও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিশ্চিত করেনি।


বুধবার তারা লাহোরের পশ্চিমে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে গুরু নানকের জন্মস্থান ননকানা সাহিবে জমায়েত হবেন। এরপর তারা কার্তারপুরসহ পাকিস্তানের অন্যান্য শিখ ধর্মীয় স্থানে যাবেন।

পাকিস্তান হাইকমিশন জানায়, এই সিদ্ধান্ত দেশগুলোর মধ্যে ‌‌‘ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া’ বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ।


২০১৯ সালে খোলা কার্তারপুর করিডর—যার মাধ্যমে ভিসা ছাড়াই ভারতীয় শিখরা গুরুদ্বার দর্শন করতে পারতেন—চলতি বছরের মে মাসের সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ হয়ে যায়।

শিখ ধর্ম ১৫শ শতকে পাঞ্জাবে (বর্তমান ভারত ও পাকিস্তান উভয় অংশে) উদ্ভব হয়। ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর ভারত-পাকিস্তান বিভাজনে অধিকাংশ শিখ ভারতে চলে গেলেও তাদের বহু পবিত্র ধর্মস্থান পাকিস্তানেই রয়ে গেছে, যার মধ্যে ননকানা সাহিব ও কার্তারপুর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম