সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বয়স বেঁধে দেবে ডেনমার্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
বড় কয়েকটি প্লাটফর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে ডেনিশ সরকার। সংগৃহীত ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হাতে ফোন পেলে খাওয়া ভুলে যায় এখনকার সন্তানেরা। অনলাইনের যুগে তা শিশু-কিশোরদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবাধ প্রবেশের সুযোগে কেউ কেউ অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ডেনমার্ক। দেশটি একটি নতুন নীতি আনতে চায়, যেখানে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ডেনমার্ক সরকার জানায়, তারা নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবেশের জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা ১৫ বছর করার চেষ্টা করছে। বলা হচ্ছে, এই নিয়মে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইন নিরাপত্তা জোরদার হবে। খবর ডেইলি সাবা।
অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ডেনমার্কের ডিজিটাল মন্ত্রণালয় একটি ছাড় রেখেছে। কোনো সন্তানের বাবা-মা যদি চান তবে দুবছর আগে অর্থাৎ সন্তানের বয়স ১৩ বছর হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিবন্ধনের অনুমতি দিতে পারবে। শিশু ও তরুণদের ডিজিটাল বিশ্বের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতে এই কঠোর অবস্থানে যেতে চায় ডেনমার্ক।
দেশটির মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ শিশুদের বিশ্রাম, খেলা এবং ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য আরও সময় দেবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি করার আগে—যেখানে নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে, তা সম্পর্কে অবহিত করা হবে।’
তবে এখনও এই নিয়মটি পরিকল্পনার স্তরে আছে। চুক্তিটি কবে নাগাদ কার্যকর করা হবে তাও এখনও নিশ্চিত না। এমনকি ঠিক কোন কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্মকে নিষিদ্ধ করা হবে তাও জানায়নি ডেনমার্ক।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি প্রধান ও বড় প্ল্যাটফর্মগুলোকে লক্ষ্য করবে। যদি এই আইনটি পাশ হয় তবে ডেনমার্ক হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রথম দেশগুলোর মধ্যে প্রথম যারা এমন সীমাবদ্ধতা আরোপের পথে এগোচ্ছে।
ডেনিশ সরকার এ বছরের শুরুর দিকে জানিয়েছিল, জুলাই মাসে ইইউ কাউন্সিলের পর তারা এই বিষয়টি সমগ্র ইইউজুড়ে আলোচনায় আনতে চায়। ইইউ’র আরেক দেশ জার্মানিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করা নিয়ে কিছুদিন যাবৎ বিতর্ক চলছে।
এই নিয়ম এখন চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির ক্যানবেরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তরুণরা শুধুমাত্র ১৬ বছর বয়সের পরেই টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবে। ডেনমার্ক হতে যাচ্ছে এই নিয়ম আনা দ্বিতীয় কোনো দেশ।
