Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ফক্স নিউজকে ট্রাম্প

বিবিসি পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, কেন মামলা করব না?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

বিবিসি পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, কেন মামলা করব না?

ট্রাম্পের মামলার হুঁশিয়ারিতে তটস্থ বিবিসি। সংগৃহীত ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গত সোমবার। এই হুঁশিয়ারি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে সারা দুনিয়ায়, খবরটি ফলাও করে প্রচার করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। বিষয়টি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তাকে উদ্ধৃত করে ভুল শিরোনামে নিউজ করায় ব্রিটিশ এই গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তার মামলা করার বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে তিনি আপাতত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণাটাই দিয়েছেন। 

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার প্রচার করে ফক্স নিউজ। খবর আল আরাবিয়্যার।  

বিবিসির বিরুদ্ধে সত্যিই মামলা করার পরিকল্পনা আছে কিনা—এমন প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় এটি (মামলা) করতে আমি বাধ্য। কেন নয়?

‘আমার মনে হয়, মামলাটি করতে আমি বাধ্য। কারণ তুমি তো কাউকে এই এখতিয়ার দাও নি যে, তোমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশ করবে।’

তবে ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন কিনা সেটি নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেন, তারা পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।সেটি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকারও করেছে।

ট্রাম্পের দাবি, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি তার ভাষণের দুটি আলাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে দর্শকদের বিভ্রান্ত করেছে বিবিসি। যা দেখে মনে হয় তিনি তার নির্বাচনি পরাজয়ের পর মার্কিন ক্যাপিটলে আক্রমণ করার জন্য জনগণকে স্পষ্টভাবে আহ্বান জানাচ্ছিলেন।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা সোমবার বিবিসিকে তথ্যচিত্রটি ‘পূর্ণ ও ন্যায্যভাবে প্রত্যাহার’ করার জন্য ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। অন্যথায় এক বিলিয়ন ডলারের মামলার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিতর্কিত ঘটনাটির কারণে ইতোমধ্যেই চাপের মুখে রয়েছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানটি। এরমাঝেই ট্রাম্পের মামলার হুঁমকিতে বিবিসি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তা প্রধান ডেবোরাহ টারনেস। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে উত্তপ্ত ইস্যু (যেমন গাজার যুদ্ধসহ সংবেদনশীল খবর) নিয়ে বিভাজন ও টানাপোড়েনও প্রকাশ পেয়েছে।

যুক্তরাজ্য ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। দেশটির সরকারও ট্রাম্পের মিত্র। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন না যে বিবিসি ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’। বিবিসির কিছু সাংবাদিককে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে যে শব্দটি ট্রাম্প ব্যবহার করেছিলেন সেটিও অস্বীকার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা যায়, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। নথি অনুসারে, অনুষ্ঠানটি দুটি ভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে দেখিয়েছে, যেন ট্রাম্প সমর্থকদের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার আগে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং তাদের ‘প্রাণপণে লড়তে’ বলছেন। কিন্তু ভাষণের যে অংশে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও দেশপ্রেমিকের মতো নিজেদের মতপ্রকাশের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল। ভাষণের এই দুই অংশ মূলত প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিল।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম