ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বৃহৎ পরিকল্পনা শ্রীলঙ্কার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বজায় থাকা অবস্থায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়িঘর মেরামত ও নতুনভাবে নির্মাণের জন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক উদ্যোগ।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত ৬০৭ জন নিহত এবং ২১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজদের অধিকাংশই মারা গেছেন। পরিস্থিতিকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ ঘোষণা করে প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে জানিয়েছেন, এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার লড়াই চালিয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২০ লাখ মানুষ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শ্রীলঙ্কার অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গৃহহীন হয়ে পড়া নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি রুপি (প্রায় ৩৩ হাজার ডলার) করে দেওয়া হবে। এছাড়া নিহত ব্যক্তিদের স্বজন ও শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়া দুর্গতদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে ৭১ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গত সপ্তাহের বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত পাঁচ হাজার বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনও প্রায় দেড় লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
২০২২ সালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার হওয়ার চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার মাঝেই ‘ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া’ বিপুল ক্ষতি ডেকে এনেছে।
পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে বলেন, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠায় অগ্রগতি হয়েছে ঠিকই, তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি সামাল দেওয়া শ্রীলঙ্কার পক্ষে একা সম্ভব নয়।
এদিকে ডিএমসি জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় আরও বৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকির ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের এখনই ঘরে ফিরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

