Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

সাত হাজার বছর পুরোনো গ্রামের খোঁজ মিলল ইরানে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম

সাত হাজার বছর পুরোনো গ্রামের খোঁজ মিলল ইরানে

ইরানে প্রায় ৭ হাজার বছরের প্রাগৈতিহাসিক এক গ্রাম আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ছবি: মেহের নিউজ

ইরানের দেহদাশত শহরের ঐতিহাসিক বেলাদশাপুর এলাকার নিচে প্রায় ৭ হাজার বছরের প্রাগৈতিহাসিক এক গ্রাম আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এ আবিষ্কার অঞ্চলের নবপাথরিক যুগের ইতিহাস ও প্রাচীন নগরবসতির বিকাশ সম্পর্কে নতুন ভাবনার দুয়ার খুলেছে। 

মেহের নিউজ এজেন্সির বরাতে জানা গেছে, দেহদাশতে চলমান প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের প্রধান জবিহুল্লাহ মাসউদিনিয়া শনিবার সকালে জানান, ৫ম ও ৬ষ্ঠ সহস্রাব্দ খ্রিস্টপূর্ব সময়কার একটি প্রাগৈতিহাসিক গ্রাম শহরের কেন্দ্রে আবিষ্কৃত হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে দেহদাশতের ঐতিহাসিক নগর এলাকায় কখনো আনুষ্ঠানিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা হয়নি। প্রথমবারের মতো অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষামূলক খনন চালানো হলে উপরের মধ্যযুগীয় ও পরবর্তী ইসলামী যুগের স্তরগুলো সরাতেই মিলেছে বিস্ময়কর প্রাগৈতিহাসিক নিদর্শন। প্রাথমিক গবেষণায় এসব স্তরের বয়স ৫ম সহস্রাব্দ খ্রিস্টপূর্ব বলে ধারণা মিলেছে। 

মাসউদিনিয়া জানান, এই আবিষ্কার দেহদাশতের ইতিহাসকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। ওপরের অংশে ইসলামী যুগের শেষ দিকের স্থাপত্য দেখা গেলেও নিচের স্তর পরীক্ষা করতে একটি ছোট গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এতে সম্ভাব্য সেলজুক ও সাফাভি যুগের কাঠামোর নিচে আরও গভীরে ৬ষ্ঠ ও ৫ম সহস্রাব্দ খ্রিস্টপূর্বের মৃৎপাত্র ও সাংস্কৃতিক উপাদান মেলে।

প্রত্নতত্ত্ববিদ আরও জানান, উত্তপ্ত পাথরের টুকরো পাওয়া গেছে—যা দিয়ে সে সময়ের মানুষ দুধ বা পানি গরম করতে বিশেষ পদ্ধতিতে পাথর আগুনে গরম করে পাত্রে ফেলে ব্যবহার করত। এটি সে যুগের প্রযুক্তি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়।

তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালের আকাশছবি বিশ্লেষণে দেহদাশত কারাভানসারাইয়ের পাশে একটি ঐতিহাসিক টিলা দেখা গেলেও আধুনিক নগরায়ণে তা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। তবুও এবারকার খননে সেই নিওলিথিক গ্রামের অস্তিত্ব উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

এ ছাড়া খননকাজে শহরের উত্তরাংশে প্রাচীন কানাত পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ধ্বংসাবশেষও মিলেছে। গবেষকেরা জানান, বর্তমান দেহদাশতের ঘরবাড়ি, রাস্তা ও অলিগলোর বেশিরভাগই আসলে এই প্রাগৈতিহাসিক টিলার ওপর গড়ে উঠেছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম