থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে সংলাপের আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আসিয়ান অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডকে সংলাপ, প্রজ্ঞা ও পারস্পরিক সম্মানের চেতনা বজায় রেখে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে আনোয়ার জানান, তিনি পৃথকভাবে কাম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় উভয় দেশের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা কমিয়ে আনার সর্বোত্তম পথ নিয়ে মতবিনিময় হয়।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক দুই দেশের জন্য একটি উপযুক্ত ও গঠনমূলক প্ল্যাটফর্ম হবে। এ বৈঠকে তারা উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসন, শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই সমাধানের পথে এগোতে পারবে।
এদিকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (উইসমা পুত্রা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আগামীকাল কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এটি গত ১১ ডিসেম্বর আনোয়ার ইব্রাহিম ও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে হওয়া সমঝোতার ধারাবাহিক পদক্ষেপ।
আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি দেশ হিসেবে মালয়েশিয়া এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করবে এবং এতে সভাপতিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি মোহাম্মদ হাসান।
এর আগে ১৭ ডিসেম্বর আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, এই বৈঠকের মাধ্যমে আসিয়ান সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা নিরূপণ এবং উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ বন্ধে রাজি করাতে উদ্যোগ জোরদার করবে। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি দিয়ে এই প্রচেষ্টা শুরু করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাইয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা কয়েক দিন ধরে সশস্ত্র সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে ২৮ জুলাই উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর ২৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৪৭তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশ ‘কুয়ালালামপুর শান্তি চুক্তি’ স্বাক্ষর করে।
তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ফের সহিংসতা শুরু হয়েছে, এতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং হাজারও মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
