দিল্লির পর কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে একদল বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
এরপর একই দিনের দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনেও বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে জানায়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে কয়েক শ মানুষ উপহাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
সংবাদমাধ্যমগুলোর শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল লোক গেরুয়া রঙের পতাকা হাতে উত্তেজিত হয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছে। এর আগের দিন সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা একাধিক নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন’ এবং ‘ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে’ এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী তা প্রতিহত করে।
হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হাইকমিশনের সামনে তিন স্তরের ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়। সেখানে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন ও উপাসনালয় ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দিতে অন্তত দুটি ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় ব্যারিকেড পুনরায় স্থাপন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর রাতেও দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে বিক্ষোভ করে একদল লোক।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবারও ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে গিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফিরে যান।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বরও প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়েছিল। সেসময় ভারতের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে বাংলাদেশের সরকারের উদ্বেগ জানানো হয় এবং কিছু হামলাকারীর ভারতে পালানোর বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দিল্লি, কলকাতা ও ভারতের অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশি কূটনীতিক ও মিশনের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে।
