আসামে উপজাতি অঞ্চলে সহিংসতায় নিহত ২, কারফিউ জারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১০ এএম
বিক্ষোভকারীরা স্বায়ত্বশাসিত কার্বি আংলং পরিষদের প্রধান ব্যবস্থাপক ও বিজেপি নেতা তুলিরাম রংহাঙ্গের পৈতৃক বাড়ি জ্বালিয়ে দেন। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কার্বি-আংলং এলাকায় সহিংসতায় দুজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। খবর বিবিসি বাংলার।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার থেকে আদিবাসী ও আদিবাসী নন, এ রকম দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিক্ষোভকারীরা স্বায়ত্বশাসিত কার্বি আংলং পরিষদের প্রধান ব্যবস্থাপক ও বিজেপি নেতা তুলিরাম রংহাঙ্গের পৈতৃক বাড়ি জ্বালিয়ে দেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) লড়াই তীব্র আকার ধারণ করে। ওই অঞ্চলের খেরোনি বাজারে আগুন ধরিয়ে পুরো বাজার ও আশপাশের বহু বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একাধিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল পুড়ে যায়। কারফিউ জারি থাকলেও দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
উপজাতিদের এলাকা হিন্দিভাষী, বাঙালি ও নেপালিরা ‘দখল করে রেখেছে’ এবং ওই ‘বহিরাগতদের উৎখাত করতে হবে’–– এই দাবি নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে অনশন-আন্দোলন চলছিল। সোমবার অনশনকারীদের ‘তুলে’ গুয়াহাটিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। তারপরে সহিংসতা শুরু হয়।
আসাম পুলিশের মহাপরিচালক হরমিত সিং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘অনশন-আন্দোলন যারা করছিলেন, তাদের নেতাকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তারদের পরামর্শেই। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। এরপরই ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এরপরেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা একটি সেতু দখল করতে চেষ্টা করলে তার বাহিনী যখন বাধা দেয়, তখন পুলিশের ওপরে বোমা নিক্ষেপ করে ও তীর ছুঁড়ে হামলা চালানো হয় বলে মন্তব্য করেছেন হরমিত সিং।

