যুগান্তর ডেস্ক ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে রাশিয়া যাচ্ছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবে। এতে বিতর্কিত কুরিল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে এ দ্বীপপুঞ্জই দুই দেশের জন্য বাধা হয়ে আছে।
মঙ্গলবার রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন অ্যাবে। ২০১৩ সালে থেকে এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে ২৫ বার সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।
কুরিল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের বিতর্ক থাকলেও তাদের উদ্যোগের মধ্যে সহযোগিতার আভাস পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে প্রশান্ত মহাসাগর ও অখখোটসক সাগরের মধ্যের চারটি দ্বীপ দখল করে নেয় সোভিয়েত সেনাবাহিনী।
এসব দ্বীপে সোভিয়েত সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে অস্বীকার জানায় টোকিও। রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জ ও জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় ভূখণ্ড দুই দেশের মধ্যে শান্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
গত বছরের নভেম্বর থেকে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা সত্ত্বেও দুই নেতা শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন। দুই দেশের রাজধানী থেকে দেয়া সাম্প্রতিক বিবৃতি সফলতার প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে।
অ্যাবের নববর্ষের বার্তার ক্ষুব্ধ জবাব দিয়েছিল মস্কো। সেখানে তিনি বলেন, ওই দ্বীপগুলোতে রুশদের বসতি এটি স্বীকার করতে সহায়তা করবে যে, তাদের বসতবাড়ির স্বার্বভৌমত্ব পরিবর্তন হবে।
গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ওই দ্বীপগুলোকে নিজেদের উত্তরাঞ্চলীয় ভূখণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা বন্ধ করতে হবে জাপানকে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে টোকিওর সামরিক জোট সন্দেহজনক।
এ সময় কুরিল দ্বীপপুঞ্জের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লাভরভ।
তার মতে, জাপান হচ্ছে একমাত্র দেশ যেটি কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফল মেনে নিতে অনিচ্ছুক।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০০০-২০১৯