জয়ের পর যা বললেন নুসরাত জাহান
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট থেকে জয়ী হয়েছেন নুসরাত জাহান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিন লক্ষাধিক ভোট বেশি পেয়েছেন তারুণ্যের এই টালিউড সেনসেশন।
২৯ বছর বয়সী এই বাঙালি অভিনেত্রী বিজেপির স্বায়ন্ত বসু ও কংগ্রেসের কাজী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। ভোটে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চয়েজে’ আস্থা রেখেছেন স্থানীয়রা।
জয়ের পর মমতাকে কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি নুসরাত। বলেছেন, এই জয় মাটি আর দিদিকে উৎসর্গ করলাম।
গত কয়েক বছর ধরেই বসিরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
নুসরাতকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই তাকে নিয়ে বিরোধী পক্ষ ব্যাপক অপপ্রচারে নামে। তাকে নিয়ে অশ্লীল ছবি বানিয়ে তা ইন্টারনেটে ট্রল করেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে নতুন আসা এই অভিনেত্রী বিজয়ী হয়ে ছাড়লেন।
ভোট গণনার দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন নুসরাত। তখন জয়ের ব্যবধান আড়াই হাজার। ফিরোজা ফুলের নকশা তোলা হালকা গোলাপি শাড়ি, ফুলহাতা গোলাপি ব্লাউজ, আর খোলা চুলে সতেজ তারকা জানালেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি পজিটিভ।
দুপুর ১২টা নাগাদ বসিরহাটে পৌঁছে টাকির একটি গেস্ট হাউসে ওঠেন নুসরাত। প্রায় চার ঘণ্টা ঘরে বসে ল্যাপটপে চোখ রেখেছেন তিনি। বাবা-মামা ও সঙ্গীদের সঙ্গে গল্পগুজব করে সময় কাটিয়েছেন। মাঝেমধ্যে স্থানীয় দলীয় কর্মীরা এসে দেখা করে গেছেন। নিজের জয়ের ব্যবধান ক্রমশই বাড়ছে। কিন্তু দলের অপ্রত্যাশিত ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন বারবার। অতিথিশালায় থাকা দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসিরহাটে জয়ের ব্যবধান নিয়ে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ তা থামিয়ে দিলেন নুসরাত।
এরই মধ্যে খবর এলো- ব্যবধান দুই লাখ ছাড়িয়েছে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩টা ৫০ মিনিট। রাজ্যের কনিষ্ঠতম সাংসদ নুসরাত প্রথমেই বাবাকে সবুজ আবির ছুঁইয়ে আশীর্বাদ চাইলেন।
অতিথিশালা থেকে বেরিয়ে বিকাল ৪টা নাগাদ সহযোদ্ধাদের নিয়ে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র ভ্যাবলা পলিটেকনিক কলেজের উদ্দেশে রওনা হলেন নুসরাত। গত দেড় মাসে তাকে দেখতে যেভাবে ভিড় জমেছিল, এদিনও বসিরহাটের তারকাকে দেখতে গণনাকেন্দ্রের আশপাশে তেমনই জমায়েত। মাত্র মিনিট দশেক গণনাকেন্দ্রের মধ্যে ছিলেন তিনি। সমর্থকদের অনুরোধে গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসইউভির হুড খুলে রোড শো করতে বাধ্য হলেন নুসরাত।
তখনও তিন লাখ ২২ হাজারের বেশি জয়ের ব্যবধান তৈরি হয়নি। ইছামতীর পাড়ের রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ার সাহস দিয়েছিলেন ‘দিদি’ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিদিকেই জয় উৎসর্গ করলেন নুসরাত। গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বললেন, 'মাটি আর দিদিকে জয় উৎসর্গ করলাম।'
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জয়ের পর যা বললেন নুসরাত জাহান
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট থেকে জয়ী হয়েছেন নুসরাত জাহান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিন লক্ষাধিক ভোট বেশি পেয়েছেন তারুণ্যের এই টালিউড সেনসেশন।
২৯ বছর বয়সী এই বাঙালি অভিনেত্রী বিজেপির স্বায়ন্ত বসু ও কংগ্রেসের কাজী আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে ভোট করেছেন। ভোটে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চয়েজে’ আস্থা রেখেছেন স্থানীয়রা।
জয়ের পর মমতাকে কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি নুসরাত। বলেছেন, এই জয় মাটি আর দিদিকে উৎসর্গ করলাম।
গত কয়েক বছর ধরেই বসিরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
নুসরাতকে প্রার্থী ঘোষণার পরেই তাকে নিয়ে বিরোধী পক্ষ ব্যাপক অপপ্রচারে নামে। তাকে নিয়ে অশ্লীল ছবি বানিয়ে তা ইন্টারনেটে ট্রল করেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে নতুন আসা এই অভিনেত্রী বিজয়ী হয়ে ছাড়লেন।
ভোট গণনার দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন নুসরাত। তখন জয়ের ব্যবধান আড়াই হাজার। ফিরোজা ফুলের নকশা তোলা হালকা গোলাপি শাড়ি, ফুলহাতা গোলাপি ব্লাউজ, আর খোলা চুলে সতেজ তারকা জানালেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি পজিটিভ।
দুপুর ১২টা নাগাদ বসিরহাটে পৌঁছে টাকির একটি গেস্ট হাউসে ওঠেন নুসরাত। প্রায় চার ঘণ্টা ঘরে বসে ল্যাপটপে চোখ রেখেছেন তিনি। বাবা-মামা ও সঙ্গীদের সঙ্গে গল্পগুজব করে সময় কাটিয়েছেন। মাঝেমধ্যে স্থানীয় দলীয় কর্মীরা এসে দেখা করে গেছেন। নিজের জয়ের ব্যবধান ক্রমশই বাড়ছে। কিন্তু দলের অপ্রত্যাশিত ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন বারবার। অতিথিশালায় থাকা দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসিরহাটে জয়ের ব্যবধান নিয়ে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ তা থামিয়ে দিলেন নুসরাত।
এরই মধ্যে খবর এলো- ব্যবধান দুই লাখ ছাড়িয়েছে। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৩টা ৫০ মিনিট। রাজ্যের কনিষ্ঠতম সাংসদ নুসরাত প্রথমেই বাবাকে সবুজ আবির ছুঁইয়ে আশীর্বাদ চাইলেন।
অতিথিশালা থেকে বেরিয়ে বিকাল ৪টা নাগাদ সহযোদ্ধাদের নিয়ে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্র ভ্যাবলা পলিটেকনিক কলেজের উদ্দেশে রওনা হলেন নুসরাত। গত দেড় মাসে তাকে দেখতে যেভাবে ভিড় জমেছিল, এদিনও বসিরহাটের তারকাকে দেখতে গণনাকেন্দ্রের আশপাশে তেমনই জমায়েত। মাত্র মিনিট দশেক গণনাকেন্দ্রের মধ্যে ছিলেন তিনি। সমর্থকদের অনুরোধে গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসইউভির হুড খুলে রোড শো করতে বাধ্য হলেন নুসরাত।
তখনও তিন লাখ ২২ হাজারের বেশি জয়ের ব্যবধান তৈরি হয়নি। ইছামতীর পাড়ের রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ার সাহস দিয়েছিলেন ‘দিদি’ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিদিকেই জয় উৎসর্গ করলেন নুসরাত। গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বললেন, 'মাটি আর দিদিকে জয় উৎসর্গ করলাম।'