রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর থেকেই রাহুল গান্ধীর পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা চলছিল। লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৫২ আসন পাওয়া কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার কথা রাহুলই গত ২৫ মে বলেন।
এর পর তাকে এই পদে থাকতে বহু অনুরোধ করা হয়েছে। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে নিয়ে বৈঠকের পর বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, রাহুল পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনের পর ছেলেকে দায়িত্ব বুঝিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এক গাল হেসে বলেছিলেন- এবার বই পড়ব, সিনেমা দেখব এবং পুরনো চিঠি ডিজিটাইজ করব। কিন্তু ৭২ বছর বয়সে আবারও দলের ভার নিতে হলো তাকে।
তবে সোনিয়া গান্ধী দলের হাল ধরায় চটেছেন অনেকে। কারণ পদত্যাগের সময় রাহুল বলেছিলেন- গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে দলের ভার দেবেন। কিন্তু সোনিয়া যদিও অন্তর্বর্তী দায়িত্ব নিলেন, তবে সভাপতি নির্বাচনের সময় কেন বেঁধে দেয়া হলো না? এমন প্রশ্ন দলের অনেকের।
একসময়ে কংগ্রেসে প্রবীণদের সিন্ডিকেট চলত। অনেকের মতে, এবারও সেটিই হলো।
রাহুল পদত্যাগে সোনিয়া যদি হাল না ধরতেন, তা হলে কংগ্রেস ভেঙে যেত— এ কথা কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতাই মনে করেন। কিন্তু রাহুলের ওপর ভরসা রেখে দলের যে নবীন নেতারা রাজনৈতিক উত্থানের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের মনে হাজারও প্রশ্ন উঠে আসছে। রাহুলের পদত্যাগের পর কিছু নবীন নেতাও পদত্যাগ করেছিলেন।
এমনই এক নেতা বলেন, রাহুলের ওপর অনেক ভরসা করেছিলাম। দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেছিলেন- নবীনদের জন্য মঞ্চ খালি রেখেছেন। কিন্তু এখন নিজেই পালিয়ে গেলেন!
