সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ‘ডাইনোসর মাছ’!
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:৩৫ এএম
অস্কারের হাতে সেই অদ্ভুত দর্শন মাছ, ছবি: টুইটার
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সম্প্রতি টুইটারে ভাইরাল হয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা গেছে, সমুদ্রে নৌকায় বসে অদ্ভুত দর্শনের একটি মাছ হাতে এক যুবক।
এমন দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে বেশিরভাগই বিষয়টিকে হলিউড ছবির কোনো দৃশ্য ভেবে বসে আছেন।
অথচ গভীর সমুদ্র থেকে বাস্তবেই পাওয়া গেল উদ্ভট চেহারার মাছটি।
১৬ সেপ্টেম্বর টুইটারে ভাইরাল হয়ে পড়া একটি পোস্ট থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি নরওয়ের উপকূলে এমনই এক উদ্ভট চেহারার মাছ ধরা পড়েছে ১৯ বছর বয়সী অস্কার লুন্ডহালের ছিপে।
অস্কার লুন্ডহাল মাছ ধরার সংস্থা নর্ডিক সি অ্যাংলিংয়ের একজন গাইড। অদ্ভুত দর্শন সেই প্রাণিটির চোখ এর শরীরের তুলনায় বিশাল।
বিরল এই প্রাণিটি পেয়ে প্রথমে অবাক হয়ে লাফিয়েই ওঠেন অস্কার।
তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নরওয়ের আন্দোয়া দ্বীপের কাছে নীল হালিবুট খুঁজছিলাম আমি। এক সারিতে চারটি ছিপ ফেলি। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই দেখি একটি ছিপে বড় কিছু আটকা পড়েছে। এর পর প্রাণপণ চেষ্টা করে সেটি ডাঙায় তুলে অবাক হয়ে যাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে অন্য কোনো জলজ প্রাণী ভাবলেও পরে একে মাছই মনে হয়েছে। এর বিশাল চোখ আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। মাছের তুলনায় দেহ খুব ছোট হলেও এর গায়ে বেশ জোর ছিল। মাছটাকে তুলতে আমার ৩০ মিনিট সময় লেগেছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সমুদ্রের মাছ নিয়েই গবেষণা আমার। কিন্তু এত অভিজ্ঞতা থাকার পরও এই মাছটিকে আমি এই প্রথম দেখলাম।’
মাছটির নাম প্রথমে না জানায় তিনি একে ‘ডাইনোসর ফিশ’ নাম দেন।
তীর থেকে প্রায় পাঁচ মাইল দূরে এই বিরল প্রজাতির মাছ বসবাস করে বলে ধারণা তার।
এদিকে অস্কারের সেই অদ্ভুত চেহারার ‘ডাইনোসর ফিশ’ টুইটারে ভাইরাল হয়ে পড়লে সমুদ্র ও প্রাণী বিজ্ঞানীদের তা নজরে পড়ে।
প্রাণী বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম দ্য সান জানায়, ডাইনোসর নয়, এ মাছটি আসলে একটি র্যাট ফিশ। একে হাঙরের একটি প্রজাতি ধরা হয়। এই মাছের লাতিন নাম- চিমেরাস মনস্ট্রোসা লিনিয়াস। সমুদ্রের খুব গভীরে এদের বিচরণ, তাই ধরা পড়ে না।
সমুদ্র গভীরে অন্ধকারে দেখতে পাওয়ার সুবিধার জন্যই এমন বিশাল চোখ এই মাছের বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
দ্য সান আরও জানায়, এ মাছ নিয়ে একটি গ্রিক পৌরাণিক গল্প রয়েছে। সেই গল্পে মানুষখেকো একটি দৈত্য রয়েছে, যার মাথা ছিল সিংহের এবং লেজ ছিল ড্রাগনের। সেই দৈত্যের নামই চিমেরাস মনস্ট্রোসা লিনিয়াস। আকৃতি সেই দৈত্যের মতো দেখে এর নামও তাই রেখেছিল গ্রিকরা।
