চীনে উইঘুর নারীদের শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করা হচ্ছে
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বী উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক শয্যাসঙ্গী করছে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা।
এসব উইঘুর নারীদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে চীন সরকার।
এই সুযোগে তাদের পরিবারের উপর নজরদারির নামে নারীদের শয্যাসঙ্গী করা হচ্ছে। খবর যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট’র।
চীনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিবাহিত নারীদের শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
উইঘুর পুরুষরা চীনের আটক কেন্দ্রে বন্দি। এজন্য তাদের স্ত্রীদের বাসায় তদারকির জন্য যায় সরকারি কর্তারা।
কখনও কখনও সরকারি কর্মকর্তাদের বাসায়ও ওই স্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
উভয় সময়ই তাদের সঙ্গে বিবাহিত মুসলিম নারীদের একই বিছানায় থাকতে বাধ্য করা হয়।
খবরে বলা হয়, প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখার অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। বন্দিদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে দেশটি।
এর আগে নারীদের গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এ সময় কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তারা এর চেয়েও আরও ভয়ংকর, বর্বর-পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় মানবাধিকার গ্রুপ ও আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এগুলো সাধারণ ঘটনা। সরকার যে ব্যাপক নির্যাতন চালায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুসলমান নারীদের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া।
এটিকে মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের মতে এটি সরাসরি মানুষের মৌলিক অধিকারের অমর্যাদা।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, নিয়মিত ভিত্তিতে চালানো নজরদারিমূলক এসব পরিদর্শন চীনে মুসলিম উইঘুরদের ওপর চালানো পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ।
চীনে উইঘুর নারীদের শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করা হচ্ছে
অনলাইন ডেস্ক
০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:১০:০৬ | অনলাইন সংস্করণ
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বী উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক শয্যাসঙ্গী করছে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা।
এসব উইঘুর নারীদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে চীন সরকার।
এই সুযোগে তাদের পরিবারের উপর নজরদারির নামে নারীদের শয্যাসঙ্গী করা হচ্ছে। খবর যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট’র।
চীনে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের বিবাহিত নারীদের শয্যাসঙ্গী করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
উইঘুর পুরুষরা চীনের আটক কেন্দ্রে বন্দি। এজন্য তাদের স্ত্রীদের বাসায় তদারকির জন্য যায় সরকারি কর্তারা।
কখনও কখনও সরকারি কর্মকর্তাদের বাসায়ও ওই স্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
উভয় সময়ই তাদের সঙ্গে বিবাহিত মুসলিম নারীদের একই বিছানায় থাকতে বাধ্য করা হয়।
খবরে বলা হয়, প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দি করে রাখার অভিযোগ রয়েছে চীনের বিরুদ্ধে। বন্দিদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে দেশটি।
এর আগে নারীদের গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এ সময় কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তারা এর চেয়েও আরও ভয়ংকর, বর্বর-পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় মানবাধিকার গ্রুপ ও আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এগুলো সাধারণ ঘটনা। সরকার যে ব্যাপক নির্যাতন চালায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মুসলমান নারীদের সন্তান জন্মদান ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া।
এটিকে মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে বিভিন্ন দেশ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের মতে এটি সরাসরি মানুষের মৌলিক অধিকারের অমর্যাদা।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, নিয়মিত ভিত্তিতে চালানো নজরদারিমূলক এসব পরিদর্শন চীনে মুসলিম উইঘুরদের ওপর চালানো পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023