নাগরিকপঞ্জি ও জনসংখ্যা নিবন্ধনের পার্থক্যের ব্যাখ্যা দিলেন ওয়াইসি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:৩২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভারতের ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই প্রতিবাদে সরব সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (মীম) নেতা আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি। এবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনের (এনপিআর) মধ্যে পার্থক্যের বিবরণ দিলেন তিনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে টুইটারে পাঁচটি পোস্ট করেছেন তিনি। যাতে ভারতীয়দের কেন এ সম্পর্কিত তথ্য জানা উচিত; সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।-খবর এনডিটিভির
ওয়াইসি লেখেন, শজুড়ে ভারতীয় নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধীকরণের দিকে প্রথম পদক্ষেপ এনপিআর, দ্বিতীয় নাম এনআরসি। অর্থাৎ নাগরিকপঞ্জি হচ্ছে– এর দ্বিতীয় ধাপ। এনপিআর ও এনআরসির মধ্যে যোগসূত্রটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
দেশটির পার্লামেন্টের এই এমপি আরও বলেন, এনপিআর হল ভারতে বসবাসকারী সাধারণ বাসিন্দাদের সংগৃহীত চিত্র। ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব বিধিমালা অনুসারে, নাগরিকদের থেকে অভিবাসীদের আলাদা করার জন্যে জাতীয় নিবন্ধীকরণ করা হবে। কীভাবে এই বাছাই হয়?
তিনি লেখেন, প্রথমে স্থানীয় একজন কর্মকর্তা তালিকাটি নিশ্চিত করেন এবং স্থানীয় নাগরিকদের তালিকা থেকে সন্দেহজনক নাগরিকদের নোটিশ দেন।
‘এই সন্দেহভাজন নাগরিকদের নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এর পরই খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়।’
তিনি বলেন, আপনি যদি মনে করেন খসড়া তালিকায় আপনার নাম থাকলেই যথেষ্ট, তবে এটি সঠিক নয়। কারণ নিয়ম অনুসারে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কেউ চাইলেই তার আপত্তি জানাতে পারেন। যে কেউ ওই আপত্তি জানাতে পারেন। শেষ পর্যন্ত আপনার ভারতীয় নাগরিকত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া পুরোপুরি একজন সরকারি কর্মকর্তার হাতে থাকবে।
নিজের শেষ টুইটে ওয়াইসি লেখেন, এনপিআর প্রতিটি ভারতীয়ের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য যেমন পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্যও সংগ্রহ করে।
