|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সম্প্রতি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাস্ক।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশে দেশে মাস্ক বিক্রির হিড়িক চলছে।
বিশেষ করে চীনে এখন মাস্কবিহীন কাউকে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ১০ শহরে ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমন সব খবরের মধ্যে মাস্ক পরতে নিষেধ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর গালফ নিউজের।
কোনো কারণ ছাড়া সাধারণ মানুষকে এন-৯৫ ফেসিয়াল মাস্ক পরতে নিষেধ করেছে দুবাইয়ের স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়।
এর ব্যাখ্যায় সেখানকার চিকিৎসকরা বলছেন, এই ফেসিয়াল মাস্ক শ্বাসতন্ত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে। শরীরে অক্সিজেন প্রবেশের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইডের বর্হিগমণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর এসব কারণে শ্বাসযন্ত্রের রোগ ডেকে আনতে পারে এই মাস্ক।
এসব কারণ জানিয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাস্ক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তা ছাড়া যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে এই মাস্ক পরা হচ্ছে, সে বেলায়ও ভাইরাস অনুপ্রবেশে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে পারছে না।
কারণ করোনাভাইরাস চোখ দিয়েও প্রবেশ করে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এন-৯৫ মেডিকেল মাস্ক শুধু চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যবহার করতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেটিও কেবল সেখানেই, যেখানে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।
এন-৯৫ মাস্কের পর সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারেও দিকনির্দেশনা দিয়েছে দুবাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যারা এই মাস্ক ব্যবহার করেন তাদের বলা হয়েছে, ঢিলেঢালাভাবে মাস্কটি পরিধান করলে ব্যাকটেরিয়া সহজে নাক অথবা মুখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে সেন্ট জর্জেসের ড. ডেভিড ক্যারিংটন বিবিসিকে বলেন, সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়।
যদিও উহানে করোনাভাইরাস উৎপত্তি হওয়ার পরই এর সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। অবশ্য তা হতে হবে নিরাপদ মাস্ক।
আর নিরাপদ মাস্ক বলতে তাতে তিনটি লেয়ার থাকে। এর থেকে কম লেয়ারের মাস্ক পরে কোনো লাভ হয় না। আর মাথার পেছনের দিকে বেঁধে রাখা যায় এমন মাস্কই সর্বোৎকৃষ্ট। কারণ এসব মাস্ক ঢিল হবে না।
ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রথম থেকেই যে নির্দেশনা দিয়ে আসছে, প্রতিদিন বারবার হাত ধুতে হবে। এ জন্য সাবান কিংবা তরল হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। গরম পানি দিয়ে হাত ধুলেও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। মাস্ক পরার আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে।
