Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

এর পর বিলুপ্ত হতে চলেছে কোন প্রাণীটি?

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০১৮, ০৪:১৭ এএম

এর পর বিলুপ্ত হতে চলেছে কোন প্রাণীটি?

সারা বিশ্বে বেঁচে থাকা একমাত্র পুরুষ শ্বেত গণ্ডারটির মৃত্যুর পর এই প্রজাতিব প্রাণীটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এখন এই প্রাণীটিকে ফিরে পাওয়ার একমাত্র উপায় হল বিজ্ঞান। অর্থাৎ গবেষণাগারে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রাণীটিকে জন্মানো যেতে পারে।
বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করে এ রকম একটি দাতব্য সংস্থা ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ- এর প্রধান কলিন বাটফিল্ড বলছেন, পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ।-খবর বিবিসি অনলাইন।

খুব বেশি বিপদের মধ্যে আছে এ রকম প্রাণিকূলের একটি ভাকুইয়তা, এটি ডলফিন বা ছোট আকারের একটি তিমি, যা ১৯৫৮ সালে প্রথম দেখা গিয়েছিল। একই রকম বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় আছে আরও একটি গণ্ডার, যার নাম জাভান।

এ ছাড়া আরও যেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে সুমাত্রান গণ্ডার, কৃষ্ণ গণ্ডার, আমুর চিতাবাঘ, ফরেস্ট হাতি এবং বোর্নিও দ্বীপের ওরাংওটান। তার কোনো কোনোটির সংখ্যা হয়তো একশরও কম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে এ রকম আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন এসব প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে রেডলিস্ট।
এ তালিকায় উদ্ভিদ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, জলে ও স্থলে বাস করতে পারে এ রকম উভচর প্রাণী, সামুদ্রিক প্রাণী ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলোকে আবার কোনটা কত বেশি ঝুঁকির মুখে সেই তুলনা করে তাদের একেকটা ভাগে ফেলা হয়েছে।

সংস্থাটি মনে করে, বর্তমানে ৫৫৮৩টি প্রাণী গুরুতর বিপদের মুখে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২৬টি প্রাণীকে ২০১৭ সালে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগের বছরে এই প্রাণীগুলোর ভবিষ্যৎ এতটা শোচনীয় ছিল না।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে আইইউসিএনের হিসাবে তখনও পর্যন্ত বেঁচেছিল ৩০টির মতো ভাকুইয়তা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকের মধ্যেই এই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

সংস্থাটি বলছে, এসব প্রাণীর সংখ্যা একেবারে নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। এর পরও যাতে প্রকৃত সংখ্যার খুব কাছাকাছি যাওয়া যায়, সে জন্য এই গণনায় নানা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

স্থলে প্রাণীদের ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা যেসব বিষয় বিবেচনা করেন-
•    জিপিএস ট্র্যাকার
•    হত্যার আলামত
•    পদচিহ্ন
•    গাছপালায় আঁচড়
•    বিষ্ঠা বা মল
এসব হিসাব করে তারা প্রাণীটির সংখ্যা গণনা করেন। কিন্তু এই গণনা সবসময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকে না। এ ছাড়া প্রত্যেক বছর নতুন নতুন প্রজাতি চোখে পড়ছে। ফলে ঠিক কতসংখ্যক প্রাণী এলেই বিপন্ন হওয়ার পথে সেটি হিসাব করা একটু জটিল। বিজ্ঞানীদের অনেকে বলেন, কোনো কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার আগেই সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

ব্রাজিলের স্পিক্স ম্যাকাও বিলুপ্ত বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু ২০১৬ সালে এ রকম একটি পাখি দেখা গিয়েছিল। তবে কোন প্রাণী কতটা বিপন্ন সেটি বুঝতে গিয়ে শুধু তার সংখ্যাই বিবেচনা করা হয় না।

কীভাবে বুঝব কোন প্রাণী কতটা বিপন্ন? যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়-


•    তারা কি শুধু একটি এলাকাতেই বাস করছে যে কারণে তাদের হয়তো একটি কারণেই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, নাকি তারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে?

•    তাদের প্রজনন চক্র কতদিন ধরে স্থায়ী হয়? যথেষ্ট সংখ্যায় যদি প্রাণীটি না থাকে, তা হলে কত দ্রুত এটি আবার বংশবিস্তার করতে পারবে?

•    প্রাণীটি যেসব হুমকির সম্মুখীন সেগুলো কতটা ব্যাপক?
•    প্রাণীটি জিনগতভাবে কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ?
•    তাদের বসতি কতটা হুমকির মুখে?

বিপন্ন বিলুপ্ত গণ্ডার হুমকি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম