বাবরি মসজিদ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ভারতীয় ইতিহাসবিদের
অনলাইন ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:০৪:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের ইতিহাসবিদ রত্নাবলি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ও এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত অনিরুদ্ধ রায় স্মারক বক্তৃতায় শনিবার ইতিহাসবিদ রত্নাবলি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে আলোচিত মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে নিষ্পত্তি হলেও রাম জন্মভূমি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিতর্ক বিদ্যমান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
রত্নাবলী দেবী জানান, রাম যে ঐতিহাসিক চরিত্র বা অযোধ্যা তার জন্মভূমি এমন কথা কোনো ঐতিহাসিক তথ্যসূত্রে উল্লেখিত নেই।
এমনকি, মন্দির ভেঙে মসজ়িদ তৈরির ঘটনারও সত্যতা নেই। কাল্পনিক বা মনগড়া কাহিনীকে কীভাবে ইতিহাস বলে উপস্থাপিত করা হচ্ছে এবং দেশের শাসক দলের তার প্রতি যে প্রশ্রয় তাও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারতের জাতীয়তাবোধের সঙ্গে ধর্মীয় চেতনাকে যুক্ত করা অনৈতিহাসিক। বর্তমানে যে ভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটছে, তারও সমালোচনা করেছেন তিনি।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অনিরুদ্ধ রায়ের প্রয়াণের পর এই স্মারক বক্তৃতা শুরু হয়েছে। অধ্যাপক রায় তার জীবনভর যে বে ধর্মনিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের চর্চা করে গেছেন, তা বিস্তারিত তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আশীষ কুমার দাস।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাবরি মসজিদ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ভারতীয় ইতিহাসবিদের
ভারতের ইতিহাসবিদ রত্নাবলি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ ও এশিয়াটিক সোসাইটি আয়োজিত অনিরুদ্ধ রায় স্মারক বক্তৃতায় শনিবার ইতিহাসবিদ রত্নাবলি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে আলোচিত মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে নিষ্পত্তি হলেও রাম জন্মভূমি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিতর্ক বিদ্যমান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
রত্নাবলী দেবী জানান, রাম যে ঐতিহাসিক চরিত্র বা অযোধ্যা তার জন্মভূমি এমন কথা কোনো ঐতিহাসিক তথ্যসূত্রে উল্লেখিত নেই।
এমনকি, মন্দির ভেঙে মসজ়িদ তৈরির ঘটনারও সত্যতা নেই। কাল্পনিক বা মনগড়া কাহিনীকে কীভাবে ইতিহাস বলে উপস্থাপিত করা হচ্ছে এবং দেশের শাসক দলের তার প্রতি যে প্রশ্রয় তাও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারতের জাতীয়তাবোধের সঙ্গে ধর্মীয় চেতনাকে যুক্ত করা অনৈতিহাসিক। বর্তমানে যে ভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটছে, তারও সমালোচনা করেছেন তিনি।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক অনিরুদ্ধ রায়ের প্রয়াণের পর এই স্মারক বক্তৃতা শুরু হয়েছে। অধ্যাপক রায় তার জীবনভর যে বে ধর্মনিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাসের চর্চা করে গেছেন, তা বিস্তারিত তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আশীষ কুমার দাস।